প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জননেত্রী বিশ্বনেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উত্থান, সামাজিক সুরক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ তাঁর বহুমাত্রিক অবদান শুধু এই স্বল্পকালীন আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব নয়। দেশকে আজ তিনি এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে সারা বিশ্বে তিনি আজ নন্দিত হচ্ছেন। প্রধামন্ত্রীর কাজ এবং উন্নয়নই আজ তাঁকে দেশে-বিদেশে মহান নেতায় পরিণত করেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৭তম পর্বে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংগীত শিল্পী অধ্যাপক ইফফাত আরা নার্গিস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ইফফাত আরা নার্গিস বলেন, আজকে ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে বিশ্বময় নেতৃত্বের যে অর্জনটি তিনি পেয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। আমি প্রথমেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে আমার বক্তব্য শুরু করতে চাচ্ছি। শেখ হাসিনা একটি নাম নয়, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। যার জীবনের মূলমন্ত্রই হচ্ছে কাজ করা। তিনি অত্যন্ত ভক্তির সাথে ভালোবেসে মানুষের জন্য কাজ করেন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এতই ভালোবাসতেন তাদের জন্য তিনি তার সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ঠিক তেমনি তার যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি কিন্তু মানব কল্যাণের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য তিনি কাজ করছেন এবং সোচ্চার হয়েছেন। তিনি সব সময় বিশ্বের জলবায়ু বিষয়ে প্রতিবাদি কণ্ঠে তার ভাষণ দিতেন। এবারে জাতিসংঘের ভাষণে তিনি যে ব্যক্তিতা দিয়েছেন সেখানে তিনি যত বিষয় কথা বলেছেন সেখানে তিনি শুধু একটি বিষয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলেছেন এবং সেই কথাটিও তিনি রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে সেটাও কিন্তু বিশ্ব দরবারে নন্দিত হয়েছে। অর্থাৎ তিন যে মাদার অব হিউমিনিটি সেটাও কিন্তু সব জায়গায় আলোড়িত হয়েছে। সারা বিশ্বকে কিভাবে সুন্দর করে রাখা যায়, পৃথিবীর যে সমস্ত ছোট ছোট দেশ রয়েছে সেই সমস্ত দেশগুলো কিভাবে ভালোমতো চলতে পারে সেজন্য তিনি বড় বড় দেশের প্রতি আর্জি পেশ করেছেন। তিনি হচ্ছেন বিশ্বের সেই নেত্রী যিনি পৃথিবীর নিষ্পেষিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। অর্থাৎ তিনি তার পিতার স্থান দখল করেছেন সেভাবেই যেমনটি হওয়ার দরকার ছিল। দেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আমলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যন্ত নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার ঘটেছে। নারী শিক্ষা নিশ্চিত করা, নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন এবং কর্মক্ষেত্র ও রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি সে সমস্ত আইন পাশ করিয়েছেন পার্লামেন্টে নারীদের অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য সেটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।