প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৪৯ পিএম আপডেট: ১৮.১১.২০২১ ১১:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জননেত্রী বিশ্বনেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উত্থান, সামাজিক সুরক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ তাঁর বহুমাত্রিক অবদান শুধু এই স্বল্পকালীন আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব নয়। দেশকে আজ তিনি এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে সারা বিশ্বে তিনি আজ নন্দিত হচ্ছেন। প্রধামন্ত্রীর কাজ এবং উন্নয়নই আজ তাঁকে দেশে-বিদেশে মহান নেতায় পরিণত করেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৭তম পর্বে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংগীত শিল্পী অধ্যাপক ইফফাত আরা নার্গিস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, আজকে ভোরের পাতা লাইভ সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্টের সেই কালরাতে বঙ্গমাতা সহ তাঁর পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাতবরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ ইজ্জতহারা মা-বোনদের। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। আমরা ইতিহাস জানি কারণ আমরা ইতিহাসের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও তারই নির্দেশনায় আমরা কাজ করেছি। ১৯৬৬ সালে যখন আমি অনার্সের ছাত্র ছিলাম ঠিক তখন থেকেই তার নেতৃত্বে কাজ করি। আমরা দেখেছি যে বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় আমরা একটি স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি, আমরা একটা পতাকা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল অর্থাৎ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে উদ্দেশ্য ছিল আমাদের একটি খুদামক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। সেই সোনার বাঙলায় সকল মানুষের সমান অধিকার থাকবে। এই উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। যুদ্ধ শেষে যখন তিনি দেশের ফিরলেন তখন তিনি বলেছিলেন আমাকে অন্তত তিন বছর সময় দিতে হবে এই বাঙলাকে সোনার বাঙলায় রূপান্তর করার জন্য। এরপর ৭২, ৭৩, ৭৪ সাল পার করে যখন তিনি তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছিলেন, সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন ঠিক তখনি ১৯৭৫ সালে তার নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। তার হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর তারই সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের ক্ষমতায় আসেন। আমরা সেই পাঁচ বছরে বঙ্গবন্ধুর সেই কাক্সিক্ষত স্বপ্নের একটা অধ্যায় দেখতে পেলাম। এরপর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। ২০০৯ সালের সরকার গঠনের পর পর এই তিনটি সরকারের প্রধান হিসেবে দেশের পরিচালনা করছেন এবং দেশকে আজ তিনি এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে সাড়া বিশ্বে তিনি আজ নন্দিত হচ্ছেন। প্রধামন্ত্রীর কাজ এবং উন্নয়নই আজ তাঁকে দেশে-বিদেশে মহান নেতায় পরিণত করেছে। অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, আত্মপ্রত্যয় ও দূরদর্শিতাই শেখ হাসিনাকে বিশ্বনেত্রীর আসনে সমাসীন করেছে।