রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বিশ্বে উন্নয়নের প্রতীক শেখ হাসিনা
#আজ সারা বিশ্বে নন্দিত হচ্ছেন শেখ হাসিনা: নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। #বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা: নাসির উদ্দিন আহমেদ। #শেখ হাসিনা একটি নাম নয়, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান: ইফফাত আরা নার্গিস।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৫২ পিএম আপডেট: ১৮.১১.২০২১ ১১:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

জননেত্রী বিশ্বনেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উত্থান, সামাজিক সুরক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ তাঁর বহুমাত্রিক অবদান শুধু এই স্বল্পকালীন আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব নয়। দেশকে আজ তিনি এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে সারা বিশ্বে তিনি আজ নন্দিত হচ্ছেন। প্রধামন্ত্রীর কাজ এবং উন্নয়নই আজ তাঁকে দেশে-বিদেশে মহান নেতায় পরিণত করেছে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৭তম পর্বে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংগীত শিল্পী অধ্যাপক ইফফাত আরা নার্গিস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন,  আজকে ভোরের পাতা লাইভ সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্টের সেই কালরাতে বঙ্গমাতা সহ তাঁর পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাতবরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ ইজ্জতহারা মা-বোনদের। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। আমরা ইতিহাস জানি কারণ আমরা ইতিহাসের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও তারই নির্দেশনায় আমরা কাজ করেছি। ১৯৬৬ সালে যখন আমি অনার্সের ছাত্র ছিলাম ঠিক তখন থেকেই তার নেতৃত্বে কাজ করি। আমরা দেখেছি যে বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় আমরা একটি স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি, আমরা একটা পতাকা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল অর্থাৎ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে উদ্দেশ্য ছিল আমাদের একটি খুদামক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। সেই সোনার বাঙলায় সকল মানুষের সমান অধিকার থাকবে। এই উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। যুদ্ধ শেষে যখন তিনি দেশের ফিরলেন তখন তিনি বলেছিলেন আমাকে অন্তত তিন বছর সময় দিতে হবে এই বাঙলাকে সোনার বাঙলায় রূপান্তর করার জন্য। এরপর ৭২, ৭৩, ৭৪ সাল পার করে যখন তিনি তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছিলেন, সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন ঠিক তখনি ১৯৭৫ সালে তার নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। তার হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর তারই সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের ক্ষমতায় আসেন। আমরা সেই পাঁচ বছরে বঙ্গবন্ধুর সেই কাক্সিক্ষত স্বপ্নের একটা অধ্যায় দেখতে পেলাম। এরপর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। ২০০৯ সালের সরকার গঠনের পর পর এই তিনটি সরকারের প্রধান হিসেবে দেশের পরিচালনা করছেন এবং দেশকে আজ তিনি এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে সাড়া বিশ্বে তিনি আজ নন্দিত হচ্ছেন। প্রধামন্ত্রীর কাজ এবং উন্নয়নই আজ তাঁকে দেশে-বিদেশে মহান নেতায় পরিণত করেছে। অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, আত্মপ্রত্যয় ও দূরদর্শিতাই শেখ হাসিনাকে বিশ্বনেত্রীর আসনে সমাসীন করেছে।

নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জননেত্রী বিশ্বনেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উত্থান, সামাজিক সুরক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ তাঁর বহুমাত্রিক অবদান শুধু এই স্বল্পকালীন আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব নয়। তিনি ভিশনারি লিডার, আপোসহীন নেত্রী, গণমানুষের নেতা, উন্নয়নের রোল মডেল এবং সকল ক্ষেত্রে আমাদের আস্থার প্রতীক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্য যখন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেন তখন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়ার বাসায়। পিতা, মাতা ও ভাইদের হারানোর শোকগ্রস্ত শেখ হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। তিনি ছয় বছর ভারতে থাকার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। এর আগেই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের মতো একটি পুরানো ও বৃহৎ দলের সভাপতির দায়িত্ব নেন। তৎকালীন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, দলের অভ্যন্তরে অনেক জ্যেষ্ঠ নেতার বিরোধিতাসহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেন। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দিশেহারা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপরে দাঁড় করান। ফলে ১৯৯৬ সালে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী আছেন শেখ হাসিনা। এ সময়ে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন হলো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা বিরোধে জয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটেছে। বর্তমানে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। পিতা-মাতা, স্বজন হারানোর সীমাহীন বেদনার মাঝেও তিনি অসীম সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে লড়াই করেছেন।

অধ্যাপক ইফফাত আরা নার্গিস বলেন, আজকে ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে বিশ্বময় নেতৃত্বের যে অর্জনটি তিনি পেয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। আমি প্রথমেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে আমার বক্তব্য শুরু করতে চাচ্ছি। শেখ হাসিনা একটি নাম নয়, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। যার জীবনের মূলমন্ত্রই হচ্ছে কাজ করা। তিনি অত্যন্ত ভক্তির সাথে ভালোবেসে মানুষের জন্য কাজ করেন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এতই ভালোবাসতেন তাদের জন্য তিনি তার সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ঠিক তেমনি তার যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি কিন্তু মানব কল্যাণের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য তিনি কাজ করছেন এবং সোচ্চার হয়েছেন। তিনি সব সময় বিশ্বের জলবায়ু বিষয়ে প্রতিবাদি কণ্ঠে তার ভাষণ দিতেন। এবারে জাতিসংঘের ভাষণে তিনি যে ব্যক্তিতা দিয়েছেন সেখানে তিনি যত বিষয় কথা বলেছেন সেখানে তিনি শুধু একটি বিষয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলেছেন এবং সেই কথাটিও তিনি রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে  সেটাও কিন্তু বিশ্ব দরবারে নন্দিত হয়েছে। অর্থাৎ তিন যে মাদার অব হিউমিনিটি সেটাও কিন্তু সব জায়গায় আলোড়িত হয়েছে। সারা বিশ্বকে কিভাবে সুন্দর করে রাখা যায়, পৃথিবীর যে সমস্ত ছোট ছোট দেশ রয়েছে সেই সমস্ত দেশগুলো কিভাবে ভালোমতো চলতে পারে সেজন্য তিনি বড় বড় দেশের প্রতি আর্জি পেশ করেছেন। তিনি হচ্ছেন বিশ্বের সেই নেত্রী যিনি পৃথিবীর নিষ্পেষিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। অর্থাৎ তিনি তার পিতার স্থান দখল করেছেন সেভাবেই যেমনটি হওয়ার দরকার ছিল। দেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আমলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যন্ত নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার ঘটেছে।  নারী শিক্ষা নিশ্চিত করা, নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন এবং কর্মক্ষেত্র ও রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।  তিনি সে সমস্ত আইন পাশ করিয়েছেন পার্লামেন্টে নারীদের অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য সেটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]