প্রকাশ: বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রে খেয়াল করে দেখবেন যে, তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের বাহিরে সফরে গেলে এবং সফর থেকে দেশে ফিরে প্রেস ব্রিফিং করেন না। কিন্তু আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখবেন যে উনি বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করলে দেখবেন যে উনি দেশের ফিরে সাংবাদিকদের সাথে বসে প্রেস ব্রিফিং করে। এই জন্যই বলা যায় তিনি অন্যদের থেকে ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মধ্যে বাংলাদেশকে যেখানে এনে দাঁড় করিয়েছেন, তা এক অসম্ভব সাফল্য, যা অনেক শাসকের কাছেই অকল্পনীয় ও ঈর্ষণীয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চমক। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বকে এগিয়ে নেওয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার পরামর্শও এখন গ্রহণযোগ্য এবং প্রশংসনীয়।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৬তম পর্বে বুধবার (১৭ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা ১৯৮১ থেকে আজ পর্যন্ত তার ধারাবাহিকতায় তিনি দলের দায়িত্ব নিয়ে যেভাবে মানুষকে ভালোবেসে মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছিলেন জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমরা সেই আন্দোলন থেকে শুরু করে সবটা দেখেছিলাম কিভাবে তিনি এই সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। ত্যাগে, দয়ায়, ক্ষমায় ও সাহসের মহিমায় শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের বিস্ময়। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগেরই নেতা নন, তিনি আজ দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে স্টেটসম্যান বা রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কর্তব্য সম্পন্ন হতে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। পিছিয়ে পড়া বাংলার জনপদে তিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আন্দোলনের স্লোগান তুলে দেশের চেহারা বদলে দিয়েছেন। বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির এক নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জরুরি কাজ সমাধা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ তার দেদীপ্যমান নেতৃত্বগুণে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলে। কায়েমী স্বার্থবাদীদের হাত থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচানোর জন্যে তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা আজ জাতিসংঘ তথা বিশ্ব পরিমণ্ডলে শান্তি ও ন্যায়ের এক মূর্তপ্রতীক। তিনি শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বিশ্বের অন্যতম প্রধাননেতা হিসেবে নিজের দেশ ও জনগণকে তুলে ধরেছেন সবার ওপরে।