#বিশ্বে বাংলাদেশকে মহিমান্বিত করেছেন শেখ হাসিনা: ড. ওয়ালি-উর রহমান। #আন্তর্জাতিক পরিসরে শেখ হাসিনার জয়গান চলছে: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ। #জননেত্রী থেকে বিশ্ব মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা: আব্দুল্লাহ আল বাকী।
পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রে খেয়াল করে দেখবেন যে, তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের বাহিরে সফরে গেলে এবং সফর থেকে দেশে ফিরে প্রেস ব্রিফিং করেন না। কিন্তু আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখবেন যে উনি বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করলে দেখবেন যে উনি দেশের ফিরে সাংবাদিকদের সাথে বসে প্রেস ব্রিফিং করে। এই জন্যই বলা যায় তিনি অন্যদের থেকে ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মধ্যে বাংলাদেশকে যেখানে এনে দাঁড় করিয়েছেন, তা এক অসম্ভব সাফল্য, যা অনেক শাসকের কাছেই অকল্পনীয় ও ঈর্ষণীয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চমক। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বকে এগিয়ে নেওয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার পরামর্শও এখন গ্রহণযোগ্য এবং প্রশংসনীয়।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৬তম পর্বে বুধবার (১৭ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. ওয়ালি-উর রহমান বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রে খেয়াল করে দেখবেন যে, তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের বাহিরে সফরে গেলে এবং সফর থেকে দেশে ফিরে প্রেস ব্রিফিং করেন না। কিন্তু আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখবেন যে উনি বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করলে দেখবেন যে উনি দেশের ফিরে সাংবাদিকদের সাথে বসে প্রেস ব্রিফিং করে। এইজন্যই বলা যায় তিনি অন্যদের থেকে ভিন্ন। সম্প্রতি গ্লাসগো সম্মেলনসহ আরও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেখানে উপস্থিত বিশ্ব নেতারা আমাদের শেখ হাসিনাকে নিয়ে বলেছেন যে এরকম যদি একজন নেতৃত্ব পেতাম তাহলে আমরা আগেই হয়তো এই সাম্প্রতিক সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো। এইযে বিশ্বে এখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যেভাবে বিশেষায়িত করা হচ্ছে তা আমাদের জন্য সত্যিই অনেক গর্বদায়ক বিষয়। আজকের এই শেখ হাসিনা কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতে ছিলেন অর্থাৎ তার পরিবার যেভাবে নির্যাতিত হয়েছে সেই রকম নির্যাতন বাংলাদেশের আর কোন পরিবারকে পোহাতে হয়নি। গত এক দশকের বেশি সময়ে দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের বিস্ময় হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠেছে বাংলাদেশ। অকুতোভয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা স্বাধীন দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের বুকে দাঁড় করিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের আরেক নাম। আন্তর্জাতিক সমস্যা নিরসনে তিনি চিন্তাশীল ভূমিকা রাখছেন, যেমন জলবায়ু পরিবর্তনকে নিরাপত্তার অন্যতম হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্বনেতাদেরও সেদিকে মনোযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা তাকে বিশ্বনেতৃত্বের ধারায় নিয়ে গেছে। রোহিঙ্গা আন্তর্জাতিক সমস্যায় মানবিক ও রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ নিয়ে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অনন্য পথিৃকৎ হয়ে উঠেছেন। ব্রিটিশ মিডিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বর্ণনা করেছে, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা খালিজ টাইমস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাচ্যের নতুন তারকা হিসেবে অভিহিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মধ্যে বাংলাদেশকে যেখানে এনে দাঁড় করিয়েছেন, তা এক অসম্ভব সাফল্য, যা অনেক শাসকের কাছেই অকল্পনীয় ও ঈর্ষণীয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চমক। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বকে এগিয়ে নেওয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার পরামর্শও এখন গ্রহণযোগ্য এবং প্রশংসনীয়। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেছে। ১৯৯৬ সালে দলকে আনেন ক্ষমতায় দীর্ঘ ২১ বছর পর। আর ২০০৮ সালে বিজয়ের পর থেকে এখনো অধিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় নারী রাজনীতিকের পালকও এখন তাঁর মুকুটে। জিডিপির ঈর্ষণীয় প্রবৃদ্ধিসহ সবখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কড়া বার্তা তুলে ধরে তাঁর দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব। নানা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি মিলছে আন্তর্জাতিক পরিসরেও।
আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা ১৯৮১ থেকে আজ পর্যন্ত তার ধারাবাহিকতায় তিনি দলের দায়িত্ব নিয়ে যেভাবে মানুষকে ভালোবেসে মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছিলেন জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমরা সেই আন্দোলন থেকে শুরু করে সবটা দেখেছিলাম কিভাবে তিনি এই সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। ত্যাগে, দয়ায়, ক্ষমায় ও সাহসের মহিমায় শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের বিস্ময়। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগেরই নেতা নন, তিনি আজ দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে স্টেটসম্যান বা রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কর্তব্য সম্পন্ন হতে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। পিছিয়ে পড়া বাংলার জনপদে তিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আন্দোলনের স্লোগান তুলে দেশের চেহারা বদলে দিয়েছেন। বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির এক নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জরুরি কাজ সমাধা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ তার দেদীপ্যমান নেতৃত্বগুণে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলে। কায়েমী স্বার্থবাদীদের হাত থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচানোর জন্যে তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা আজ জাতিসংঘ তথা বিশ্ব পরিমণ্ডলে শান্তি ও ন্যায়ের এক মূর্তপ্রতীক। তিনি শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বিশ্বের অন্যতম প্রধাননেতা হিসেবে নিজের দেশ ও জনগণকে তুলে ধরেছেন সবার ওপরে।