সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
গুজবের বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা
জাককানইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১, ৯:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ফুটেছে লাল শাপলা, চারিদিকে পাখির কলরব। বিলের এপাশ থেকে ওপাশ শুধু চোখ জুড়ানো লাল শাপলার সমারোহ। এ যেন রক্তিম নান্দনিকতার মনোলোভা রূপ। 

সকালে উদিত সূর্যের আভায় ফুটন্ত লাল শাপলা ও পড়ন্ত বিকালে সূযাস্তের দৃশ্য মুহুর্তে যে কারো মন কাড়ে। এমন সৌন্দয্য বিরাজ করছে ত্রিশালের চেচুয়া বিলে।

প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তীর্ণ বিলটি। মাঝে মাঝে সাদা ও বেগুনি শাপলার দেখাও মেলে। এর সঙ্গে ভাসমান কচু ফুলের সাদা আভা এখানকার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ভ্রমণ পিপাসু মানুষ এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে ভিড় জমাচ্ছে।

কোনো প্রকার চাষ ছাড়াই জন্মেছে লাল শাপলাগুলো। গোটা বিলের বুক জুড়ে এখন লাল শাপলার অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। 

শিশির ভেজা রোদ মাখা সকালের জলাশয়ে চোখ পড়লে রং-বেরঙের শাপলার বাহারী রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিলের দূরত্ব মাত্র ০৫ কিলোমিটার। উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বিশাল বিল এটি। সারা দেশের মানুষ অবশ্য এ বিলকে প্রথমে চিনেছে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে। 

একদিন রাত পেরিয়ে সকাল হতেই কিছু লোক দেখতে পায় সেখানে থাকা জমাট বাঁধা কচু হঠাৎ সরে গিয়ে অনেকটা জায়গা ফাঁকা হয়েছে। এটাকে অলৌকিক ভেবে কয়েকজন এখানে গোসল করে ও এর পানি খেয়ে রোগ থেকে মুক্ত হয়েছে বলে জানান। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

এরপর সারা দেশের হাজার হাজার মানুষ বন্ধুর পথ পেরিয়ে কাঁদা মাখা পানিতে গোসল, গড়াগড়ি ও কাঁদাযুক্ত পানি সংগ্রহ করতে এখানে ভিড় করে। 

এমন গুজবও ছড়ানো হয়েছিল যে, হাজারো সমস্যার একমাত্র সমাধান এই চেচুয়া বিল। বিলের পানিতে এক ডুবেই সেরে যাবে যেকোনো রোগ। এখানকার মাটি ও পানি নাকি সর্ব রোগের ওষুধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে ছড়ানো গুজবে হাজারো মানুষের তথাকথিত তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছিল ময়মনসিংহের এই চেচুয়া বিল।

দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে আসা যায় চেচুয়া বিলে। যাতায়াতের সুবিধাও ভাল রয়েছে। বাস কিংবা নিজস্ব গাড়ি নিয়েও আসতে পারেন এই বিলে। 

প্রথমে ত্রিশাল বাস স্ট্যান্ড থেকে বালিপাড়া রোডে অটো ভ্যানে করে ঠাকুর বাড়ি মোড়ে এসে নামতে হবে। ভাড়া নিবে ১০ টাকা। এরপর চেচুয়া বিল পর্যন্ত ভ্যান দিয়েও যেতে পারবেন আবার হেঁটেও যেতে পারবেন।

চেচুয়া বিল ভ্রমন করতে এসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে শিক্ষার্থী হুমায়রা আক্তার লাকি বলেন, প্রকৃতিতে নিজের রূপ বৈচিত্র অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে জলাভূমি ও বিলে ফুটে থাকা এ জলজ ফুলের রাণী। শাপলা ফুলের উপস্থিতিতে যেন প্রাণ ফিরেছে গ্রামের শিশুদের উচ্ছল মাখা শৈশব। জলের উপর বিছানো সবুজ পাতা ভেদ করে হাসছে লাল একেকটি শাপলা। দেখলে মনে হয় লাল শাপলা যেন রঙের গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে পুরো বিল জুড়ে।

সৌন্দর্য রক্ষায় এরই মধ্যে স্থানীয়ভাবে এই বিলে ফুল তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘুরতে আসা মানুষকে এলাকাবাসী সহযোগিতা করছে। দর্শনার্থীদের নিয়মানুবর্তিতায় হয়তো এভাবেই বিলটি পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে।



ভোরের পাতা/অ



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  গুজবের বিল   লাল শাপলা  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]