আন্তর্জাতিক সব ফোরামেই সমাদৃত হয়েছেন শেখ হাসিনা: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। তার হাত ধরে এ দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং উন্নয়ন পৌঁছে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদও এগুলো স্পর্শ করতে পারেননি। এ অর্জন অনন্য ও অতুলনীয়। উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভিশনারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ‘রূপকল্প-২০৪১’। সে সময় বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করবে। এই রূপকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের ঘটনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৫তম পর্বে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমাদের জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র কয়েকদিন আগে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ ব্রিটেন এবং ফ্রান্স সফর শেষ করে আসেন। বিশ্বময় করোনার যে ভয়াল ভ্রুকুটি তা মোকাবিলা করে জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে শত প্রতিকূলতার মধ্যে তিনি লড়াকু মনভাবে মোকাবিলা করে আমাদেরকে এর ভয়াল আক্রোশ থেকে অনেক ভালো অবস্থানে রেখেছেন। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে, মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। করোনা সংকট মোকাবিলায় দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছেন শেখ হাসিনা। টানা ক্ষমতায় শেখ হাসিনা তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অকল্পনীয় উচ্চতায় নিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে নির্মম হত্যাকাণ্ডে স্বজন হারানোর তীব্র অসহনীয় ব্যথা নিয়ে তিনি পিতার অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্নের বাস্তবায়নে মহাব্যস্ত। দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম ও সাফল্যের পথ পেরিয়ে এখনও শেখ হাসিনার হাসি প্রাণবন্ত। তার হাসিতে হাসে দেশের কোটি বাঙালি। দুই চোখে তার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। যেখানে থাকবে না ক্ষুধা ও দারিদ্র্য, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই ক্লান্তিহীন পথচলা তার। একজন নারী হয়েও দক্ষিণ এশিয়ায় তার নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সাফল্য এখন বহুল আলোচিত। শুধু বাংলাদেশ বা উপমহাদেশে নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বগুণে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এই অবস্থানে যেতে তাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে শক্তিশালী নেতিবাচক চক্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। তিনি নিজেই বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নারীদের একজন।