দেশে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে দেশের ৬৪ জেলায় শুরু হয়েছে অস্ত্র উদ্ধারের বিশেষ অভিযান।
জানা যায়, এ অভিযান প্রাথমিকভাবে টানা ৭ দিন চলবে। প্রয়োজনে অভিযানের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।
এদিকে অভিযানের ব্যাপারে সার্বিক নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে সব জেলার এসপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৫টি জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
তারা জানায়, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা পেয়ে তারা অভিযানে নেমে পড়েছেন। অস্ত্রসহ অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন্স) হায়দার আলী খান বলেন, অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সামনে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও পরিবেশ নির্বিঘ্ন রাখতে পুলিশের তরফ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত- ৮ মাসে সারাদেশে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২১০টি। এতে আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪৩ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন। নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে বিভিন্ন দফায় ৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। নির্বাচনের আগে ৬ জন ও নির্বাচনের দিন মারা যান ৩ জন। মাগুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় মারা যান ৪ জন। গত ২০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলাকালে সংঘর্ষে ২ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন।