বিবিসি জানায়, বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনটি প্রায় ৪২০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রদক্ষিণ করছে। সেটিতে সব মিলিয়ে ৭ জন ক্রু সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন আমেরিকান, একজন জার্মান ও ২ জন রাশিয়ান।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, রাশিয়া বেপরোয়াভাবে ধ্বংসাত্মক স্যাটেলাইট পরীক্ষা চালিয়েছে। স্যাটেলাইটবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নিজেদেরই একটি স্যাটেলাইট ধ্বংস করে দিয়েছে দেশটি। এই পরীক্ষার ফলে বিধ্বস্ত স্যাটেলাইটটির কমপক্ষে দেড় হাজার বড় বড় টুকরো কক্ষপথে ঘুরছে, যেগুলো আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি।
আর কয়েক লাখ ছোট ছোট যেসব খণ্ড কক্ষপথে যুক্ত হয়েছে ধ্বংসস্তুপের কারণে, সেগুলোর তো কোনো হিসাবই নেই।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোজকসমস অবশ্য ঘটনাটিকে এত বড় করে দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সংস্থাটি টুইট করে জানায়, রাশিয়ার স্যাটেলাইট ধ্বংস হবার পর যেসব টুকরো বর্জ্য তৈরি হয়েছে সেগুলো দ্বারা অন্য কিছুর ক্ষতি হয়নি। তবে যে জায়গাটিতে এটি ঘটানো হয়েছে সেটি এখনো দেখা যাচ্ছে।
দেখে মনে হচ্ছে, মিসাইলের আঘাতে রাশিয়ার কসমস-১৪০৮ স্যাটেলাইট ভেঙে গেছে। এটি ১৯৮২ সালে গুপ্তচর স্যাটেলাইট হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটির ওজন এক টনের মতো এবং অনেক আগেই স্যাটেলাইটটি অকেজো হয়ে যায়।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে স্যাটেলাইট ধ্বংস করার ক্ষমতা বেশকিছু দেশের রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এবং ভারত।
তবে এ ধরনের মিসাইল ছোঁড়া করা খুবই বিরল। কারণ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে মহাকাশে মারাত্মক দূষণ হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে চীন যখন তাদের একটি অকেজো আবহাওয়া স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছিল, তখন দুই হাজারের বেশি দৃশ্যমান টুকরো হয়েছিল।
ভোরের পাতা/অ