প্রকাশ: রোববার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুরের সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নে সদ্য শেষ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় উভয়পক্ষ শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ন্যায় ডোমসার ইউনিয়ন ও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে ডোমসার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে আলি আজগর খান বেসরকারিভাবে জয়ী হয়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল তালা প্রতীকের আঃ মতিন ছৈয়াল। ফলাফল ঘোষণার পর থেকে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে বিজয়ী প্রার্থী আলি আজগর খান তার নির্বাচনি এলাকার মানুষের সাথে দেখা করতে গেলে মতিন ছৈয়ালের লোকজনের সাথে বাকবির্তক হয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
এসময় উভয়পক্ষ ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়।
পরাজিত প্রার্থী মতিন ছৈয়াল বলেন, আলি আজগর খান নির্বাচনে জয় হওয়ার পর থেকেই আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। আমি প্রতিবাদ করলে সকালে তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে ও বোমা মারে। এতে আমাদের ১০ জন লোক আহত হয়েছে।
বিজয়ী প্রার্থী আলি আজগর খান বলেন, আমি বিজয়ী হবার পর মানুষের সাথে দেখা করতে গেলে মতি ছৈয়াল তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেন। পরে আমার লোকজন নিয়ে আমি তার প্রতিবাদ করি।
শরীয়তপুর সদর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, প্রায় ৫ শতাধিক লোকের মধ্যেকারে চতুর মুখি সংঘর্ষ হয়। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি, এতে কয়েকজন আহত হয় তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাদিন রয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করে নাই অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
ভোরের পাতা/অ