প্রকাশ: রোববার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ৬:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নেয়া সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে শোকজ করা হবে।
রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতি এ শোকজ পাঠাবেন। এ শোকজ যখন আমাদের কাছে পাঠানো হবে আমরা তার (বিচারক) কাছে পাঠিয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, বিচারকের এ অবজারভেশন সংবিধান পরিপন্থী। তার এ বক্তব্য বিচারকদের জন্য বিব্রতকর।
প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক কামরুন্নাহার বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’।
অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
এছাড়া ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়, তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
আলোচিত ঐ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচারকের ঐ বক্তব্যকে সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লেখেন।
এরপর আজ রোববার বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।