প্রকাশ: রোববার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানী ঢাকায় ১২৮টি রুটে সিটিং সার্ভিস, গেট লকসহ বিভিন্ন সার্ভিসের বাস চলাচল করছে। এসব সার্ভিসের কোনো অনুমোদন নেই। এই সব সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি।
রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে এসব সার্ভিস বন্ধ রাখা হবে বলে গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতউল্ল্যাহ। তিন দিনের মধ্যে সিটিং সার্ভিস, গেট লক-এসব শব্দ বাস থেকে মুছে ফেলার বেসরকারি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
তবে সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বাসে সিটিং সার্ভিস লেখা চোখে পড়ে। বিমানবন্দর সড়কে ভিআইপি পরিবহনের বিভিন্ন বাসে সিটিং সার্ভিস লেখা দেখা গেছে। তেমনি পরিস্থান, প্রজাপতি, বিহঙ্গ, অছিমসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাসে সিটিং সার্ভিস লেখা এখনও মুছে ফেলা হয়নি।
এইদিকে গণপরিবহনে ‘সিটিং সার্ভিসের’ নামে অনিয়ম বন্ধে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিববহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ অন্যান্য অভিযোগের বিরুদ্ধেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ।
বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলম বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তাদের আটটি এবং জেলা প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সিটিং সার্ভিস, গেটলকের নামে কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া না নেয়, তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের প্রায়োরিটি কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে। এক টাকা বেশি ভাড়া নিলেও আমরা ধরছি। এছাড়া অন্য কোনো সমস্যা থাকলেও সেটাও দেখছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গত ৭ নভেম্বর বাসভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় সরকার।
পরদিন থেকে সেই ভাড়া কার্যকর হয়, কিন্তু ঢাকার রাস্তায় বাস ও মিনিবাসে তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আসতে থাকে। এই অনিয়ম বন্ধে ১০ নভেম্বর থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়।
ভোরের পাতা/কে