প্রকাশ: শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১, ১১:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সাথে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে একটা আত্মার সম্পর্ক ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটি বিপদের সময় এই প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলনে গৌরবের সাথে অংশীদার ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিরা। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সব সময় দেশ আগে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় দেশের জন্য কাজে মগ্ন থাকেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২২তম পর্বে শনিবার (১৩ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এম এ সোহরাব, ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুস বাদল, শেরপুর সদরে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি), সেন্ট্রাল কাউন্সিলর বি এম এ ডা. শারমিন রহমান অমি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস বাদল বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকেই একটা গান শুনে বড় হয়েছি যে, একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার। এখন সময় এসেছে এই গানটির দুইটি পঙক্তি পরিবর্তন করে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দুটি লাইন লেখার। একজন শেখ হাসিনা তুমি ২০ কোটি বাঙালির, ২০ কোটি জনতার, সাড়া বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমাদের অহংকার। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুধু সাম্প্রতিক সময়ে নয় সেই শুরু থেকে যখন তিনি ১৯৯৬ সালের প্রথম দেশের ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন ঠিক তখন থেকেই যে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে যা সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক উন্নয়ন ও সর্বোপরি সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন সাধন করে বর্তমান বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশের বর্ধিত করার জন্য যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন এবং এই প্রচেষ্টার তিনি যে সফল হয়েছেন সেটা বিশ্বের নেত্রীবৃন্দ আজ উনার প্রতি যে আনুগত্য প্রকাশ করেছেন সেটা আমরা আজ সুস্পষ্টভাবে দেখতে পারছি। শুধু এই সফরে না বিগত সফরগুলোতেও যেভাবে বিশ্বের এই ছোট্ট দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে লাল গালিচায় সম্মননা দিয়ে সরকার ভবন বলেন বা প্রেসিডেন্ট ভবনে সব জায়গায় যেভাবে সর্বোচ্চ সম্মাননায় তাকে আসীন করেছেন সেটা আসলেই সবার কাছে বিস্ময়কর বিষয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগে বদলে গেছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, নিজস্ব অর্থায়নে ৪৫০টি মডেল মসজিদ, সোয়া লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদান, মেট্রোরেল নির্মাণের মতো মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, প্রতিটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, শক্ত অর্থনীতি তৈরি করা, শতভাগ শিক্ষার হার অর্জন, দারিদ্র্য নির্মূল, করোনা সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে চালকের আসনে সঠিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালি আকাশ। দারিদ্র্যবিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে তলাবিহীন ঝুড়ি আজ উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক সূচকে আমরা মাইলফলক অর্জন করেছি। দেশের সীমানা পেরিয়ে তিনি আজ বিশ্বনেতাদের কাতারে পৌঁছেছেন। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও জাতিসঙ্ঘে বক্তব্য বিশ্বে প্রশংসিত।