#বহির্বিশ্বে শেখ হাসিনা একটি বিস্ময়কর নাম: এম এ সোহরাব। #সারা বিশ্বের বিস্ময় শেখ হাসিনা আমাদের অহংকার: আবদুল কুদ্দুস বাদল। #দেশের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছেন শেখ হাসিনা: ডা. শারমিন রহমান অমি।
যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সাথে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে একটা আত্মার সম্পর্ক ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটি বিপদের সময় এই প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলনে গৌরবের সাথে অংশীদার ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিরা। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সব সময় দেশ আগে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় দেশের জন্য কাজে মগ্ন থাকেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২২তম পর্বে শনিবার (১৩ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এম এ সোহরাব, ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুস বাদল, শেরপুর সদরে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি), সেন্ট্রাল কাউন্সিলর বি এম এ ডা. শারমিন রহমান অমি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
এম এ সোহরাব বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় পত্রিকা ভোরের পাতা সংলাপের আজকের আয়োজনে থাকতে পেরে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। বহিঃবিশ্বে শেখ হাসিনা একটি বিস্ময়কর নাম। আমরা যারা যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করি তারা সবাই জানি যে এই যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সাথে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে একটা আত্মার সম্পর্ক ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই কিন্তু বঙ্গবন্ধু লন্ডনে এসেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটি বিপদের সময় এই প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলনে গৌরবের সাথে অংশীদার ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিরা। এবারে কপ সম্মেলনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন এসেছিলেন তখন সব বিশ্ববাসী আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে ছিল। সেই গ্লাসগোতে আমরাও ছিলাম। বিশ্বের যে পাঁচ নেতা এই কপ সম্মেলনে বিশ্ব জলবায়ুকে নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার মধ্যে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। আমাদের বুক গর্বে ভরে যায় যখন বিদেশি মিডিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এতো বড় প্রতিবেদন ছাপায়। এই কপ সম্মেলনে বিশ্বের অনেক নেতার সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। এই সব জলবায়ু সম্মেলনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর কাছে তার উদার মানসিকতা তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে বিশ্বের বুকে স্থান অধিকার করেছেন। মাত্র এক যুগ আগেও যে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি প্রায় দ্বিগুণ ছিল, তারাও পেছনে পড়ে যাচ্ছে। একসময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আজ বিশ্ব দরবারে উদীয়মান অর্থনীতির রোল মডেল যার নেতৃত্বে, কৃতিত্ব সেই ‘ক্যারিশমাটিক’ নেত্রী শেখ হাসিনাকেই দিতে হবে। তার চার দশকের নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। যে কারণে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) তাকে এসডিজি অগ্রযাত্রা পুরস্কার দিয়েছে। এটি একটি বিরল সম্মান। এখানেই বাংলাদেশের সার্বিক যে অগ্রগতি হয়েছে গণতন্ত্র, সমাজব্যবস্থা, শিক্ষা-সংস্কৃতি; সবক্ষেত্রেই এটি একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি। এর আগেও আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনাকে এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এই করোনার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা শুধু করে নাই, সমগ্র পৃথিবীকে জানিয়ে দিয়েছে একজন যোগ্য নেতৃত্ব থাকলে একটি জাতি কিভাবে মোকাবিলা করতে পারে, তা আমরা সমগ্র পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস বাদল বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকেই একটা গান শুনে বড় হয়েছি যে, একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার। এখন সময় এসেছে এই গানটির দুইটি পঙক্তি পরিবর্তন করে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দুটি লাইন লেখার। একজন শেখ হাসিনা তুমি ২০ কোটি বাঙালির, ২০ কোটি জনতার, সাড়া বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমাদের অহংকার। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুধু সাম্প্রতিক সময়ে নয় সেই শুরু থেকে যখন তিনি ১৯৯৬ সালের প্রথম দেশের ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন ঠিক তখন থেকেই যে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে যা সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক উন্নয়ন ও সর্বোপরি সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন সাধন করে বর্তমান বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশের বর্ধিত করার জন্য যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন এবং এই প্রচেষ্টার তিনি যে সফল হয়েছেন সেটা বিশ্বের নেত্রীবৃন্দ আজ উনার প্রতি যে আনুগত্য প্রকাশ করেছেন সেটা আমরা আজ সুস্পষ্টভাবে দেখতে পারছি। শুধু এই সফরে না বিগত সফরগুলোতেও যেভাবে বিশ্বের এই ছোট্ট দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে লাল গালিচায় সম্মননা দিয়ে সরকার ভবন বলেন বা প্রেসিডেন্ট ভবনে সব জায়গায় যেভাবে সর্বোচ্চ সম্মাননায় তাকে আসীন করেছেন সেটা আসলেই সবার কাছে বিস্ময়কর বিষয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগে বদলে গেছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, নিজস্ব অর্থায়নে ৪৫০টি মডেল মসজিদ, সোয়া লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদান, মেট্রোরেল নির্মাণের মতো মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, প্রতিটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, শক্ত অর্থনীতি তৈরি করা, শতভাগ শিক্ষার হার অর্জন, দারিদ্র্য নির্মূল, করোনা সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে চালকের আসনে সঠিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালি আকাশ। দারিদ্র্যবিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে তলাবিহীন ঝুড়ি আজ উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক সূচকে আমরা মাইলফলক অর্জন করেছি। দেশের সীমানা পেরিয়ে তিনি আজ বিশ্বনেতাদের কাতারে পৌঁছেছেন। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও জাতিসঙ্ঘে বক্তব্য বিশ্বে প্রশংসিত।
ডা. শারমিন রহমান অমি বলেন, আজকের ভোরের পাতা সংলাপে যে বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে তার উপর কথা বলতে গেলে সাড়া রাত শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের কথা বলা শেষ হবে না। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সব সময় দেশ আগে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় দেশের জন্য কাজে মগ্ন থাকেন। শুধু ঘুম ব্যতিত তিনি সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে ভাবেন এবং তার সম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করেন। জাতির পিতা কন্যা হিসেবে তিনি যেভাবে বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন এবং যতবার তিনি মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তার পিছনের ছিল বাংলাদেশের মানুষের দোয়া যার জন্য আল্লাহ তাকে এখন পর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন। গত এক যুগে শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্থানে মূল ভূমিকা পালন করছে। এ সময়ে দেশের অর্থনীতি তরতর করে এগিয়ে গেছে, তিন গুণেরও বেশি বড় হয়েছে জিডিপি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে নতুন রেকর্ড অর্জন করেছে। নির্মাণ হচ্ছে বড় বড় অবকাঠামো। আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামো খাতে হয়েছে বিস্ময়কর উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তার নিপুন পরিকল্পনা এবং দৃঢ় নেতৃত্বে এদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় তার দক্ষতা ও সাফল্য ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ তাঁর নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তার নেতৃত্বই উন্নয়নশীল থেকে আমরা উন্নত দেশের দ্বারপ্রান্তে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সিঙ্গাপুরের অগ্রযাত্রার সঙ্গে এর তুলনা চলে। এক যুগ আগের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের তুলনা করলেই পার্থক্যটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে। এ সময় মানুষের জীবনযাত্রার মান যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে সক্ষমতা। স্বপ্নের মেট্রোরেল হচ্ছে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে, গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে, পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে।