প্রকাশ: শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১, ৭:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের চাঁনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত উন্নয়নের ২ লাখ টাকা হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিলো সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে অনেক প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, বেঞ্চ, রং, শিক্ষা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যায়। জরুরী ভিত্তিতে এসব মেরামতের জন্য সরকার দুই লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। গৌরীপুরে ৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ বরাদ্দ পায়। বরাদ্দের এই টাকা নিয়ে শুরু থেকেই তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান- এ টাকা থেকে ভ্যাট ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ ৫৫ হাজার টাকার বেশি কাজের পূর্বেই খরচ করতে হয়েছে। যে কারণে বরাদ্দ পাওয়া স্কুলগুলোর অধিকাংশই নামকাওয়াস্তে কিছু কাজ করে বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন বলে জানা যায়।
সরেজমিনে চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের নামের সাইনবোর্ড নেই, জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে সম্পূর্ণ বিদ্যালয়টি। ছাদের পলেস্তার খসে পড়ছে, জংধরা জানালার বেশির ভাগ পাল্লা ভাঙা। সর্বত্র অবহেলা ও অপরিচ্ছন্নতার ছাপ।
বরাদ্দের দুই লাখ টাকার কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান জানান- এ টাকা দিয়ে তিনি ছাদে জলছাদ দিয়েছেন, জানালায় রং করিয়েছিলেন। এসময় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবক এ কথার প্রতিবাদ জানান। তারা বলতে থাকেন প্রধান শিক্ষক মিথ্যা কথা বলছেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে কোন কাজ হয়নি। এমনকি দুই লাখ টাকার বরাদ্দের কথাও তিনি কাওকে জানাননি।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির দাতা সদস্য- আবু তাহের জানান- কমিটির সদস্য হয়েও বরাদ্দের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। এ টাকা দিয়ে প্রধান শিক্ষক কি কাজ করেছেন তাও জানাননি। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে কোন কাজ হয়নি।
এডহক কমিটির সভাপতি সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল্লাহ মোমতাজি জানান- দাতা সদস্যকে নিয়ে কাজ করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সব টাকা খরচ হয়নি, কিছু টাকা একাউন্টে জমা আছে।
গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বলেন- স্কুলটি তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। অনিয়ম পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।