ঢাকা থেকে প্রকাশিত ভোরের পাতা নামে একটি অনলাইন পত্রিকায় 'কুমিল্লায় পুলিশের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ২৫ মামলার আসামির জাকির' এই শিরোনামে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন ঠিকাদার।
এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ সুনাম ও স্বচ্ছতার সহিত দেশের উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্পের কাজ সহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পের কাজ সম্পাদন করে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাকির কনসোর্টিয়াম প্রাইভেট লিমিটেড এর কর্ণধার হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
দেশের প্রথম সারির একজন স্বনামধন্য ঠিকাদারী ই নয়, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে নিয়মিত আয়কর প্রদান করে বিগত ২০১৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ কুমিল্লা কর অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।
সেইসাথে ২০১১ সাল থেকে অদ্যাবধি তিনি বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাছাড়া তিনি পীর যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বিদ্যমান আছেন।
পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থাকাকালীন গত ১০ বছরে তিনি পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে দুই কোটি টাকার উপরে অনুদান প্রদান করেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব ঈদ এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বিভিন্ন পূজা,পার্বণ এবং বিভিন্ন মৌসুমী উৎসবে সর্বস্তরের সকল জনগোষ্ঠীর সাথে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে সম্পৃক্ত ওয়েব সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছেন। সেই সাথে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠনে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আজ অবধি কাজ করে আসছেন।
এছাড়াও তিনি ভৌগোলিক কারণে কষ্টসাধ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন বাসির মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে নিজস্ব সম্পত্তি হতে তিন কোটি টাকার জমি দান করে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিমাসে নিজ উদ্যোগে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাবদ দেড় লক্ষাধিক টাকা প্রদান সহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কলেজ ইউনিফর্মসহ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী গ্রাম কোমাল্লা এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেছেন।
পাশাপাশি তিনি অত্র এলাকার প্রাচীন এবং স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ পীরযাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং উক্ত বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য। নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা এবং অর্থায়নে পীরযাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে স্কুল ইউনিফর্ম এবং উৎসাহ উদ্দীপনা ও গণসচেতনতা মূলক বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও অভিভাবক সমাবেশ করে আসছেন।
তিনি আরো বলেন, পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোন নিজস্ব ভূমি কিংবা ভবন ছিল না। পূর্বের নির্বাচিত প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানগণ নিজ সুবিধা মতন নিজস্ব আবাসস্থলে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিগত অর্থায়নে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন বাসীর যাতায়াত এর সুবিধার্থে অত্র ইউনিয়নের মধ্যস্থলে জমি ক্রয় করে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন তৈরির ব্যবস্থা করেন।
এলাকার গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের বিপদে-আপদে তিনি এগিয়ে আসছেন। মহামারী করোনাকালীন সময়ে সরকারি বরাদ্দের বাইরে নিজ অর্থায়নে অত্র ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত সকলের এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী নিজ উদ্যোগে পৌঁছে দিয়েছেন।
প্রত্যেক সপ্তাহে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে সর্বস্তরের জনগণের সাথে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে এবং উন্নয়ন মূলক কাজের ক্ষেত্রে ওপেন হাউজ আলোচনা উঠোন বৈঠক করে আসছেন। জনগণের মান উন্নয়নে এবং জনসম্পৃক্ত থেকে নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছিলেন। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জুয়া, চুরি ডাকাতি, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও অন্যায় অবিচার রোধকল্পে সকলের মাঝে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন।
পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের যুবকরা যেন কখনোই বিপথগামী না হয় সেই লক্ষ্যে প্রত্যেক এলাকা ভিত্তিক সকলের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ এবং বিভিন্ন ক্রীড়া সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বিভিন্ন সময় অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকার অভিযোগ, সালিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সুরাহা করে আসছিলেন। তার এই জন কল্যাণ মূলক ঐকান্তিক পদক্ষেপ ও প্রয়াস এবং সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ২০১৯ সালে তাকে অত্র উপজেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। তার এই উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি শ্রেণীর অসাধু লোক তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি সময়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে পোস্টার টানিয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।
যার প্রতিবাদে ১০ হাজার এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করে।
এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি অনলাইন পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে হয়রানি মূলক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, তার বিরুদ্ধে হত্যা ভূমিদস্যুতা প্রতারণা সহ ২৫ টি মামলা রয়েছে এবং ১৫ টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে।
এ বিষয়ে জাকির হোসেন আরো বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে বিভিন্ন লোকজনের সাথে টাকা-পয়সাও ব্যবসায়ীর মালামাল ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই তিনি আদালত থেকে সকল মামলায় জামিনে আছেন।