শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রকিবুল হাসানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট ৯টি কেন্দ্রে তার ভোট ১২১টি।
এছাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফজলুর রহমান ৫ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আয়ূব খান পেয়েছেন ৩ হাজার ৯০৮টি ভোট।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, আটপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী শফিকুল হোসেন পেয়েছেন ১৬৫টি ভোট।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী রকিবুল হাসান আটপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব দেউলভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পেয়েছেন ১৩ ভোট, তার নিজের কেন্দ্র কল্লিগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৬ ভোট, বেলতলী ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ১৬ ভোট, দেওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫ ভোট, পশ্চিম আটপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ ভোট, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ১১ ভোট, বাড়ৈগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৫ ভোট, তারাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ ভোট, হাঁসাড়গাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৭ ভোট।
এদিকে আটপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই শিকদারের কেন্দ্রে দলটির মনোনীত প্রার্থী পেয়েছেন ৪ ভোট। আটপাড়া ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন এই দলটি ও সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি মিলে আসলে সদস্য সংখ্যা কত? এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র।
স্থানীয় বিশ্লেষকরা জানায়, শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা ভোট দিলেও ভোটের সংখ্যা ১২১ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। তার উপর তার পরিবার পরিজনতো রয়েছেই। প্রার্থী পছন্দ না হলে আওয়ামী লীগ তাদের প্রেরিত তালিকায় তার নাম পাঠিয়েছিল কেন?
রকিবুল হাসানের এমন ভড়াডুবির পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, রকিবুল হাসান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন তা ছিল ধারণাতীত।
তবে তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেকের ধারণা, ভোটের আগে রকিবুল হাসান অন্য প্রার্থীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনের হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু এই ধারণার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।