সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি সংসদ সদস্য থাকাকালীন শিবপুরে কী উন্নয়ন হয়েছে, আর বর্তমানে কী উন্নয়ন হচ্ছে- আপনারা তা দেখছেন। ইটাখোলা-সিঅ্যান্ডবি, শিবপুর-দুলালপুর, কামরাব রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারতলা ভবন এবং উপজেলা প্রশাসন ভবন, নদী খনন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আমার মাধ্যমেই হয়েছে। বাংলাদেশের ১৪টি আদর্শ উপজেলার মধ্যে শিবপুর উপজেলার নাম আমি অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম।
এসময় শিবপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিবপুর যুবলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম মোল্লা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন- শিবপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াস সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ঘোষামী, ফকরুল ইসলাম মিতু, শিবপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামাল হোসেনসহ যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী জহিরুল হক মোহনের সঙ্গে সিংহ প্রতীক নিয়ে দলের বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শিল্পপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিন কুন্দারপাড়া এলাকার একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট মিলন মিয়া হত্যার শিকার হন। এই হত্যার ঘটনায় ২ জানুয়ারি এজেন্ট মিলনের স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর আলম মোল্লা তাজুলসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর আলম মোল্লা তাজুল। তদন্তের পর মামলার অভিযোগপত্রে সিরাজুল ইসলাম মোল্লাসহ কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ভোরের পাতা/অ