তিনি তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, স্ট্রোবোস্কোপিক পরীক্ষা হয়েছে সম্প্রতি। তাতে দেখা গিয়েছে আমার স্বরযন্ত্রে ভালমতো রক্ষক্ষরণ হয়েছে। আমাকে মাসখানেক গান গাইতে, কথা বলতে বা চিৎকার করতে বারণ করা হয়েছে।
এর পরই খানিক কৌতুক মিশিয়ে সাহানা লিখেছেন, এই পরিস্থিতির সঙ্গে আপনারা দয়া করে মানিয়ে নিন। আমি নিজেও আমার এই নীরবসত্তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এটি আমার এমন এক সত্তা, যা আমি এ যাবৎকাল নিজেই আবিষ্কার করে উঠতে পারিনি। যাদের উপর আমি চিৎকার করি, তাদের একটু দূরে থাকার অনুরোধ করছি। আমি নিজের সঙ্গেও এই দূরত্ব তৈরি করছি।
সাহানার পোস্টের কমেন্ট বক্সে গায়িকার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন পরিচিত, বন্ধু এবং শুভাকাঙ্খীরা। এই রোগে গলাকে বিশ্রাম দেওয়া ছাড়া সেরে উঠবার অন্য কোনও পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অনুরাগীদের অনেকেই। সকলেই শিল্পীকে অনুরোধ জানিয়েছেন, নিজের খেয়াল রাখবার।
এদিকে চিকিৎসকরা বলেছেন, এই সময়ে চিৎকার করা তো দূরের কথা, গান গাওয়ার পাশাপাশি কথা বলাও সম্পূর্ণ নিষেধ।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘নতুন করে পাব বলে’ অ্যালবাম দিয়ে নিজের সামর্থের প্রমান দেন সাহানা বাজপেয়ী। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একে একে ‘শিকড়’, ‘যা বলো তাই বলো’, ‘মন বান্ধিবি কেমনে’ অ্যালবামগুলোতে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়ে এসেছেন সাহানা। ২০১২ সালে কিউ পরিচালিত ‘তাসের দেশ’ সিনেমাতে প্রথম গান করেন। এরপর ‘হাওয়া বদল’, ‘ফ্যামিলি অ্যালবাম’, ‘ষড়রিপু’, ‘রেনবো জেলি’, ‘এক যে ছিল রাজা’, ‘কণ্ঠ’র মতো সিনেমাতেও গেয়েছেন সাহানা।
ভোরের পাতা/অ