প্রকাশ: শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১, ২:১৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। তার বইয়ের ভাষায় কথার জাদুতে মোহিত হননি এমন বাঙালি পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঙালির হৃদয়নন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী আজ।
ক্যান্সার এ কথাশিল্পীর জীবন ২০১২ সালে কেড়ে নেয়। তার অসামান্য সাহিত্যকীর্তি ও নির্মাণ আজ বাঙালি ও বাংলাদেশের সম্পদ। তাই হুমায়ূন-মুগ্ধ পাঠকের হৃদয়ে তিনি চিরায়ত হয়ে আছেন তার আশ্চর্য সুন্দর রচনাবলির মাধ্যমে।
জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা তেমন পছন্দ ছিল না হুমায়ূন আহমেদের। তবু রাত ঠিক ১২টা ১ মিনিটে প্রিয়জনদের নিয়ে কাটতেন জন্মদিনের কেক।
সকাল হলে ভক্তরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন প্রিয় লেখককে। এছাড়া দিনব্যাপী নানা আয়োজন তো থাকতোই। এবারো নানা আয়োজনে উদযাপিত হবে দিনটি। ১৯৪৮ সালের সালের এই দিনে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা ছিলেন গৃহিণী।
তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক। হুমায়ূন আহমেদ তার দীর্ঘ চার দশকের সাহিত্য জীবনে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তার মধ্যে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উল্লেখযোগ্য। হুমায়ুন শুধু সাহিত্যেই নয়, চলচ্চিত্র, নাটক ও সংগীতেও রেখে গেছেন অসীম অবদান। তার নির্মিত সব সিনেমা ও নাটকই হয়েছে নন্দিত। তার রচিত গান হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে অগণিত মানুষের।
হুমায়ূন আহমেদ যে ধারা চলচ্চিত্রে ও নাটকে তৈরি করেছিলেন, তিনি চলে যাওয়ার পর সেই ধারা এখন প্রায় শূন্য। জানা গেছে, নানা কর্মসূচির মাধ্যমে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালীতে অবস্থিত হুমায়ূন আহমেদের হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে তার জন্মদিন উদযাপন করা হবে। জন্মদিন উপলক্ষে নুহাশপল্লীর উদ্যোগে কেক কাটা ও রাতে সহস্রাধিক মোমবাতি প্রজ্বলন করা হবে।
হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিষাদ ও নিনিতও নুহাশপল্লীতে বিশেষভাবে স্মরণ করবেন হুমায়ূনকে। সকাল ১০টায় তারা হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। কবরের পাশে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ করা হবে।