প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ নভেম্বর, ২০২১, ৬:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে কুপিয়ে জখম করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার গোড়াই শিল্পা ল এলাকার সোহাগপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন- সাইফুলের স্ত্রী এসএসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার(১৮), শাশুড়ি নাসিমা বেগম(৪০) ও শ্যালিকা শিমু আক্তার (১৪)।
আহতদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাদের মধ্যে সুমাইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের আমড়াতৈল গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ এলাকাবসী সূত্রে জানা গেছে, ৬/৭ মাস পূর্বে গোড়াই সোহাগপাড়া এলাকার খাইরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয় দক্ণি আফ্রিকা ফেরত সাইফুল ইসলামের সাথে। দক্ষিণ আফ্রিকা অবস্থানকারে সাইফুল তার উপাজিৃত সমস্ত টাকা তার বাবার কাছে পাঠান। দেশে ফিরেন এক বছর আগে। বিয়ের পর সাইফুল আর্থিক সঙ্কটে পড়লেও বাবা তাকে কোন টাকা দেয়নি। স্বামী ভরনপোষন করতে না পারায় মাত্র তিন মাস পরেই সুমাইয়া তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে সুমাইয়া তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। এদিকে বাবার কাছে প্রতারিত হয়ে গত এক সপ্তাহ পূর্বে সাইফুল শশুড় বাড়িতে আশ্রয় নেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সাইফুল ও সুমাইয়া এক ঘরে এবং পাশের ঘরে সাইফুলের শাশুড়ী নাসিমা বেগম, শ্যালিকা শিমু আক্তার ও নানি শাশুড়ী জয়নব বেগম ঘুমিয়ে ছিল।শুক্রবার ভোড়বেলা কোন কারন ছাড়াই ঘুমন্ত সুমাইয়াকে দা দিয়ে কুপাতে থাকে সাইফুল। আত্মচিতকার শুনে নাসিমা বেগম ও শিমু আক্তার এগিয়ে গেলে সাইফুল তাদেরকেও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাদের আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে এবং সাইফুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে এবং আহদের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতারে ভর্তি করে। তাদের মধে সুমাইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। সুমাইয়া আগামী রবিবার গোড়াই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা।
এই ঘটনায় সুমাইয়ার নানী জয়নব বেগম বাদি হয়ে সাইফুল ইসলামকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ন্বর ১৩।
দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আইয়ুব খান অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কী কারণে সাইফুল তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে তা এখনো জানা যায়নি। আহতদের চিকিৎসা চলছে। থানায় মামলা হয়েছে।