প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১, ১১:০৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বর্তমানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্যারিসে অবস্থান করছেন। শিল্প সংস্কৃতির আদি অঞ্চল বলে খ্যাত সেই জায়গায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যেভাবে সম্মানিত করা হয়েছে তা আমাদের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে। এটা আমাদের মর্যাদায় নতুন পালক সংযোজন করেছে। বিশ্বনেতৃত্বে সফল রাষ্ট্রনায়কদের শীর্ষস্থানে অন্যতম আসনের অধিকারী হয়ে শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের বিশ্ব নাগরিক মর্যাদায় করেছেন গৌরবান্বিত।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২০তম পর্বে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, বিশ্ব নেতৃত্বে সমাসীন দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সারা বিশ্বে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে রাষ্ট্রনায়ক যাঁরা বিশ্বে নেতৃত্বেও গৌরবের অধিকারী হয়েছেন তাঁদের অন্যতম দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। তার নেতৃত্বে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয় লাভের পর টানা এখন পর্যন্ত সরকার পরিচালনা করে আসছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সব প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র পা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সাবমেরিন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ২০৬৪ ডলারে উন্নীত, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.২, ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন ‘ভিশন-২০২১’ ও ‘ভিশন-২০৪১’ যুগান্তকারী কর্মসূচি। ২০১৮ সালের ১২ মে মহাশূন্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানের যুগে। শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানের জন্য। সেজন্যই আজ বাংলাদেশের অবস্থান একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশকেই উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হয়। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান আজ আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। শান্তি,গণতন্ত্র,স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে অভিনন্দিত হচ্ছে দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাফল্য ও অর্জন। বিশ্বনেতৃত্বে সফল রাষ্ট্রনায়কদের শীর্ষস্থানে অন্যতম আসনের অধিকারী হয়ে শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের বিশ্ব নাগরিক মর্যাদায় করেছেন গৌরবান্বিত।