প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১, ৭:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সৌদি প্রবাসী সৎ মা মরিওম বেগমকে সৎ ছেলে মোঃ হেলাল হাওলাদার ও সতিন শিরিনা বেগম মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মরিয়ম বেগমকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে সৌদি প্রবাসী মরিওম বেগমকে কচুপাত্রা গ্রামের জামাল হাওলাদার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই বিয়েতে জামালের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা রাজি ছিল না। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকেই বিরোধ চলে আসছে।
বুধবার রাত নয়টার দিকে মরিয়ন বেগমকে নিয়ে স্বামী জামাল তার বাড়িতে যান। এসময় সৎ ছেলে হেলাল হাওলাদার ও তার মা শিরিন বেগম তাকে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত মরিওম বেগম কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, বিয়ের ১২ বছরেও সৎ ছেলে ও সতিনের কারনে স্বামীর বাড়ি যেতে পারিনি।
বুধবার রাতে আমার স্বামী আমাকে নিয়ে তার বাড়ীতে গেলেই আমাকে হেলাল হাওলাদার ও তার মা শিরিন পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
স্বামী জামাল হাওলাদার বলেন, আমি মরিওমকে নিয়ে বাড়ি পৌছা মাত্রই আমার প্রথম স্ত্রী শিরিনা বেগম ও ছেলে হেলাল হাওলাদার তাকে মারধর করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে রক্ষার চেষ্টা করলে আমাকেও মারধর করে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিমাদ্রী রায় বলেন, আহত মরিয়ম বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়।
ছেলে হেলাল হাওলাদার মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার মায়ের অনুমতি ব্যতিত বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
তালতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের পাতা/অ