এর আগে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। রুলে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিলো।
তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বিটিভির মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিলো।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশে সম্প্রচার হওয়া বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে ২৪ ঘণ্টা সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়। কোনো বিজ্ঞাপন সম্প্রচার হয় না। অথচ বাংলাদেশে সম্প্রচারিত সব বিদেশি চ্যানেলে দেশি-বিদেশি বিজ্ঞাপন সম্প্রচার হচ্ছে। এটা ‘ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ এর লঙ্ঘন।
ওই আইন লঙ্ঘনের অভিযোগেই ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, আইন অনুসারে পরবর্তীতে ২০১০ সালে তথ্য মন্ত্রণালয় একটি বিধিমালা তৈরি করে। সেখানেও বিধি-নিষেধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বিদেশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে অহরহ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। কিছু কোম্পানিও বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে। দেশি চ্যানেলে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার হলেও বিদেশি চ্যানেলে সেটি হচ্ছে না। এতে দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।
ভোরের পাতা/অ