প্রকাশ: বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১, ২:৪৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আজ শহিদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন নূর হোসেন।
মৃত্যুর পর নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকার নামকরণ করা হয় শহিদ নূর হোসেন স্কয়ার এবং ১০ নভেম্বরকে শহিদ নূর হোসেন দিবস ঘোষণা করা হয়। এরপরে থেকে এই দিনটি বাঙালির গণতন্ত্রের জন্য প্রেরণাদায়ী।
বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ও ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ শ্লোগান ধারণ করে মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন শহিদ নূর হোসেন। এ সময় মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন নূর হোসেন। যখন রিকশায় করে নূর হোসেন হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তখন গুলিবিদ্ধ নূর হোসেনকে রিকশা থেকে নামিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। নূর হোসেন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করলেও পৈশাচিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয় তাকে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহিদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রেরণাদায়ী ঘটনা। শহিদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।
নূর হোসেন ১৯৬১ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। জীবিকার সন্ধানে তার পরিবার ঢাকায় এসেছিল। নূর হোসেনের পরিবার থাকত রাজধানীর পুরনো ঢাকার বনগ্রামে। নূর হোসেনের বাবা মজিবুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন বেবিট্যাক্সি চালক। মা মরিয়ম বেগম গৃহিণী। নূর হোসেন নিজেও ছিলেন একজন পরিবহন শ্রমিক।
শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর গুলিস্তানে শহিদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় সাহসী পুরুষ শহিদ নূর হোসেন দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন সমূহের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।