প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেসব পরিকল্পনা করেছেন এবং যে সব কাজ করেছেন সেখানে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস-কপ-২৬ সম্মেলনে তিনি যেসব কথা বলে বিশ্বনায়কে পরিণত হলেন- বিশ্বের বিপন্ন মানুষের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার হাতে নিরাপদ বাংলাদেশ, একটি মানবিক বাংলাদেশ, একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং একটি সমৃদ্ধশালি দেশে রূপান্তরিত হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১৮তম পর্বে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক আলী শিপু, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক, গৌরব ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আফছার খান সাদেক বলেন, আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেসব পরিকল্পনা করেছে, যে সমস্ত পরিক্রমা করেছেন, যে সমস্ত কাজ করেছেন সেখানে বাংলাদেশে আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি এমনকি করোনা দুর্যোগেও গত কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে গেছে দেশ যা চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরিকরণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। শুধু বাঙালি নয়; বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের মনের গহীন কোণে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আসন গেড়েছেন, তার আকাশসম বিশাল মানবিকতা, হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা আর মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়ক। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাণ্ডারী তিনি। সারা বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের ভরসাস্থল। বিশ্ব মানবতা যখন মুখ থুবড়ে পড়ছে, মানবতার ঝান্ডা হাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা তখন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন। তার কণ্ঠে উচ্চারিত হয় নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম শেখ ফজিলতুন্নেছা মুজিব শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারটিই একটি মানবিক পরিবার। যারা সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন এ জাতিকে। মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, অসহায়ের প্রতি সংবেদনশীলতা শেখ পরিবারের ঐতিহ্য। শেখ হাসিনার সরকারের সময় দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। সরকার দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে দারিদ্র্যতার শৃঙ্খল ভেঙেছে। উন্নয়নের বিস্ময় বাংলাদেশে অনেক বড় বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে, বড় বড় ফ্লাইওভার করা হয়েছে, মেট্রোরেল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রকাশ, বহির্বিশ্বে আমাদের সম্মানযোগ। স্বচ্ছলতার পথে হাঁটছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।