এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
আসামিদের মধ্যে এসকে সিনহাসহ ৪ জন পলাতক রয়েছেন।
গত বছরের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ।
এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ বদলির আদেশ দেন।
গত ১৩ আগস্ট আদালত এসকে সিনহাসহ ১১ জনের অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।
গত ১৮ আগস্ট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলায় ২১ জন সাক্ষী সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
উক্ত মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধভাবে প্রকৃত উৎস, অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন।
পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। বিচারক সেদিন রায় ঘোষণা না করে ৯ নভেম্বর পরবর্তী রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে দুই দফা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছায়। ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। এরপর চলতি বছরের ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ সমর্থনে সাত আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
ভোরের পাতা/অ