বৈশ্বিক নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন শেখ হাসিনা: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী
প্রকাশ: সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১, ১১:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। তখনই কিন্তু যখন বাংলাদেশকে পুনরায় উন্নয়নের ট্রাকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সেসময় থেকেই তিনি কিন্তু বৈশ্বিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত এবং বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে যেভাবে পূর্বে চিত্রায়িত করা হতো সেই প্রেক্ষাপট থেকে বাংলাদেশের বর্তমান যে রূপ এনে দিয়েছেন সেটা আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১৭তম পর্বে সোমবার (৮ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, ব্যারিস্টার, লিংকনস ইন লন্ডন (পাবলিক একসেস) ১২ ওল্ড স্কয়ার চেম্বার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা চৌধুরী হাফিজুর রহমান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ও কবি স্নিগ্ধা বাউল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বৈশ্বিক ভূমিকা সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা করবার যথেষ্ট আবশ্যকতা রয়েছে। আমি একটু পেছন থেকে আলোচনা করতে চায়। ১৯৮১ সালের তিনি দেশে ফিরলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। তখনই কিন্তু যখন বাংলাদেশকে পুনরায় উন্নয়নের ট্রাকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সেসময় থেকেই তিনি কিন্তু বৈশ্বিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস সাময়িকীর ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৩৯তম স্থানে পেয়েছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি আজ খুব দৃঢ় অবস্থানে আছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচক ইতিবাচক ধারায় এগোচ্ছে দেশ। আজ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের স্থান। একজন নারী হয়েও দক্ষিণ এশিয়ায় তার নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সাফল্য এখন বহুল আলোচিত। শুধু বাংলাদেশ বা উপমহাদেশে নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বগুণে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এই অবস্থানে যেতে তাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে শক্তিশালী নেতিবাচক চক্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা নিতে হয়েছে। তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে ১৮ বারের মতো বক্তৃতা দিয়েছেন। এই বক্তৃতাগুলো যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে আমরা দেখতে পাবো যে তার দেশ মাতৃকার ও তার জনগণের জন্য তার নিরন্তর চিন্তার বহিঃপ্রকাশ এবং পাশাপাশি শুধু একদেশী নয়, তিনি এশিয়া, সাউথ এশিয়াসহ সমগ্র বিশ্বের মানুষকে নিয়ে তার চিন্তা ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার ভাষণে। সুতরাং আমরা আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে কিংবা বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এই মুহূর্তে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে পারি তিনি বৈশ্বিক নেত্রী।