রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত শেখ হাসিনার নেতৃত্ব
#বৈশ্বিক নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন শেখ হাসিনা: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। #বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আজ বিশ্বে অনুকরণীয়: চৌধুরী হাফিজুর রহমান। #বর্তমান প্রজন্মের আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনা: স্নিগ্ধা বাউল।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১, ১১:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। তখনই কিন্তু যখন বাংলাদেশকে পুনরায় উন্নয়নের ট্রাকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সেসময় থেকেই তিনি কিন্তু বৈশ্বিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত এবং বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে যেভাবে পূর্বে চিত্রায়িত করা হতো সেই প্রেক্ষাপট থেকে বাংলাদেশের বর্তমান যে রূপ এনে দিয়েছেন সেটা আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১৭তম পর্বে সোমবার (৮ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী,  ব্যারিস্টার, লিংকনস ইন লন্ডন (পাবলিক একসেস) ১২ ওল্ড স্কয়ার চেম্বার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা চৌধুরী হাফিজুর রহমান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ও কবি স্নিগ্ধা বাউল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বৈশ্বিক ভূমিকা সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা করবার যথেষ্ট আবশ্যকতা রয়েছে। আমি একটু পেছন থেকে আলোচনা করতে চায়। ১৯৮১ সালের তিনি দেশে ফিরলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। তখনই কিন্তু যখন বাংলাদেশকে পুনরায় উন্নয়নের ট্রাকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সেসময় থেকেই তিনি কিন্তু বৈশ্বিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস সাময়িকীর ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৩৯তম স্থানে পেয়েছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি আজ খুব দৃঢ় অবস্থানে আছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচক ইতিবাচক ধারায় এগোচ্ছে দেশ। আজ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের স্থান। একজন নারী হয়েও দক্ষিণ এশিয়ায় তার নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সাফল্য এখন বহুল আলোচিত। শুধু বাংলাদেশ বা উপমহাদেশে নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বগুণে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এই অবস্থানে যেতে তাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে শক্তিশালী নেতিবাচক চক্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা নিতে হয়েছে। তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে ১৮ বারের মতো বক্তৃতা দিয়েছেন। এই বক্তৃতাগুলো যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে আমরা দেখতে পাবো যে তার দেশ মাতৃকার ও তার জনগণের জন্য তার নিরন্তর চিন্তার বহিঃপ্রকাশ এবং পাশাপাশি শুধু একদেশী নয়, তিনি এশিয়া, সাউথ এশিয়াসহ সমগ্র বিশ্বের মানুষকে নিয়ে তার চিন্তা ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার ভাষণে। সুতরাং আমরা আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে কিংবা বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এই মুহূর্তে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে পারি তিনি বৈশ্বিক নেত্রী।

চৌধুরী হাফিজুর রহমান বলেন, আমি প্রথমেই আজকের ভোরের পাতা সংলাপের যে বিষয় নির্ধারণ করে হয়েছে যে ‘বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত’, আসলেই এটা একটা যথার্থ শিরোনাম। বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত এবং বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে যেভাবে পূর্বে চিত্রায়িত করা হতো সেই প্রেক্ষাপট থেকে বাংলাদেশের বর্তমান যে রুপ এনে দিয়েছেন সেটা আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় জেলায়, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নিজে গিয়ে যেভাবে তিনি জনগণকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে, মানবিক অধিকার ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার সুফল আজ আমরা ভোগ করছি। শেখ হাসিনা সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছে। এর সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সব প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। বৈশ্বিক মহামারি করোনায় শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেন। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ তার উন্নয়নমুখী অর্থনীতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আমি মনে করি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগে এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

স্নিগ্ধা বাউল বলেন, আজকে সংলাপের শিরোনাম বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। এটাকে আসলে দুইভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি হচ্ছে বিশ্বময় তার বিচরন আরেকটি হচ্ছে তার নেতৃত্ব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মের পর থেকেই জা পারিবারিক আবহের মধ্যে বড় হয়েছেন সেখানে এক পাহাড়সম নেতৃত্ব ও কঠিন জীবন সংগ্রামকে একেবারেই তিনি চাক্ষুসভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। সেটা তার মধ্যে একটি ভাবনা তৈরি করেছেন। শেখ হাসিনা বর্তমানে শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন রাষ্ট্রনায়ক। একজন শেখ হাসিনাকে ঘিরেই দেশের কোটি কোটি মানুষ এখনো স্বপ্ন দেখে; কারণ তিনি তাদের একটি পরিচয় দিয়েছেন। পিতার মতো শেখ হাসিনার পদচিহ্নও এই দেশে হাজার বছর থাকবে এটাই আমরা বিশ্বাস করি। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে যখন সাড়া বিশ্বব্যাপী যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, জীবন-জীবিকার অনিশ্চিত যাত্রায় সংকটময় পরিস্থিতি তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে প্রশংসনীয় সফল ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার অসীম সাহসিকতায় বাংলাদেশকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ যেভাবে উল্টো পথে হাঁটছিল, তার সম্পূর্ণ বিপরীতে তিনি দেশকে টেনে নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব যেভাবে বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে সেখানে আমাদের এই প্রজন্ম তাকে একজন আলোকবর্তিকা হিসেবে দেখছি কারণ আমারা জানি আমাদের এমন একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন যিনি দেশের কঠিন থেকে কঠিনতোর সময়ে এমন সব সিদ্ধান্ত নিবেন যা আমাদের জন্য অবশ্যই মঙ্গলকর হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]