প্রকাশ: সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১, ১১:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
তেল-গ্যাসের মুল্য বৃদ্ধি কিন্ত ট্রাক ও লড়ির ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ায় দেশব্যাপি চতুর্থ দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। যার ফলে রপ্তানীর অপেক্ষায় পন্য বোঝাই প্রায় ৩ শতাধিক কন্টেইনার পড়ে আছে মোংলা বন্দর জেটিতে। ট্রাক, লড়ি ও কার্গো ভ্যান চালু না হলে বড় ধরনের আর্থিক লোকসানে পড়বে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কারক ব্যাবসায়ীরা। তবে লঞ্চ ও মোংলা-ঢাকা মহাসড়কে দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হওয়ায় ভোগান্তি কমেছে এ অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীদের।
তেল-গ্যাসের মুল্য বৃদ্ধি ও পরিবহন ভাড়া ভাড়ানোর প্রতিবাদের ধর্মঘট চলছে আজ ৪দিন। আজ সোমবারও মোংলা বন্দরে দেশের কোথাও থেকে রপ্তানীযোগ্য কোন পন্যবাহী পরিবহন আসেনি। এছাড়া জেটির অভ্যান্তর থেকেই কোন ট্রাক বা লরী ছেড়ে যায়নী, বন্ধ রয়েছে বন্দরে আমদানী-রপ্তানি সকল পণ্য পরিবহন। তাতে ধর্মঘট শুরুর চার দিনের মাথায় রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে মোংলা বন্দরে।
একদিন পরেই কন্টেইনারশিপ মোংলা বন্দরে আসার সিডিউল রয়েছে, ব্যাবসায়ীরা প্রস্তুত করতে পারেনি রপ্তানী যোগ্য কন্টেইনার। এছাড়া এ বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন শহরের আমদানীকৃত পন্য বোঝাই রয়েছে কয়েক শতাধিক কন্টেইনার, যা ট্রাক বা লড়ির কারনে বন্দর থেকে বের হতেও পারছেনা। ফলে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত অর্থিক (ল্যান্ডিং চার্জ) বন্দরকে দিতে হচ্ছে ব্যাবসায়ীদের।
অন্যদিকে, রপ্তানী যোগ্য পন্যগুলো অন্য শহর থেকে বন্দরে আসলে তা নানা প্রক্রিয়া শেষে কনটেইনারে বোঝাই করে নির্ধারিত জাহাজে তুলে দেওয়া হয় কনটেইনার। ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন জেটিতে রপ্তানি পণ্য আনা যাচ্ছে না, তেমনি পণ্যবাহী কনটেইনার প্রস্তুত করে সময় মতো বন্দর থেকে জাহাজে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। যদি রপ্তানী পন্য আসতে না পারে তবে বড় ধরনের অর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে মোংলা বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কারক ব্যাবসায়ীরা।