লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সহনীয় মাত্রায় ভাড়া বাড়ানো হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও এ ক্ষেত্রে তা প্রতিফলন হয়নি। বাস ও লঞ্চ মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে সরকার তাদের চাহিদা অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া বাড়িয়ে দিতে যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, যাত্রীর স্বার্থ বিকিয়ে গলাকাটা ভাড়া নির্ধারণের ফলে দেশের নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষকে আরও একদফা সংকটে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরে যেভাবে বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছে, তা জুলুম বলা চলে। এখানে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পর একদফা ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর আবার ভাড়া বাড়ানো হলো।
‘এতে যাত্রীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরের বর্ধিত বাসভাড়া কার্যকরের আগে এখানে কী পরিমাণ বাস গ্যাসে চলে এবং তেলে চলে তার হিসাব বের করে সুরাহা করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাড়া নির্ধারণের ব্যয় বিশ্লেষণে পুরোনো বাসকে নতুন বাস হিসেবে দেখানো হয়েছে। চালক-হেলপারদের বেতন, বোনাস দেওয়ার মিথ্যা তথ্য তুলে ধরেছে মালিকপক্ষ। ২০ বছর আগে কেনা বাসেও ব্যাংক লোন দেখানো হয়েছে। এভাবে নানা খাতে অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি দেখিয়ে এক লাফে কিলোমিটারপ্রতি ১ টাকা ৪২ পয়সার ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ করলে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা যেতো অর্থাৎ ১৮ পয়সার বেশি বাড়ানোর কথা নয়।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, সাশ্রয়ী নৌপথের ভাড়াও সড়ক পথের দ্বিগুণ হয়েছে। দেড় থেকে দুই হাজার যাত্রীধারণ সক্ষমতার লঞ্চের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা এবং ছোট নৌকা ও লঞ্চ, ট্রলারের (যাদের যাত্রীধারণ সক্ষমতা ১৫০-৫০০ জন) পরিচালন ব্যয় কম হওয়ায় এসব নৌযানের ভাড়া ১ টাকা ২০ পয়সা করার দাবি জানাচ্ছি।
ভোরের পাতা/কে