প্রকাশ: সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১, ১১:১৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রায়ের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শখ নাজমুল আলম আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
গত ৫ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন রায়ের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। তবে এদিন রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
আসামিদের মধ্যে এসকে সিনহাসহ আরও চারজন পলাতকরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
এর আগে, জামিনে থাকা ৬ আসামি স্বপন কুমার, লুৎফুল হক, শামীম, সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা উপস্থিত হন।
এছাড়া কারাগার থেকে আসামি মাহবুবুল হক চিশতীকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চার আসামি পলাতক থাকায় উপস্থিত ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধভাবে প্রকৃত উৎস, অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন।
পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।