রোববার (০৭ নবেম্বর) সরেজমিন চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে নগরীতে টেম্পু, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন সীমিত সংখ্যায় চলাচল করছে। যানবাহন কম এবং যাত্রী বেশি -এই সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে যানবাহন শ্রমিকরা।
চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন থেকে দুই নম্বর গেইটে চলাচলকারী নিয়মিত যাত্রী আবছার উদ্দিন জানান, এই রুটে টেম্পুতে জনপ্রতি ভাড়া ৭ টাকা। এখন জনপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা করে।
সাবরিনা নামে এক কলেজশিক্ষার্থী জানান, জিইসি থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত ভাড়া জনপ্রতি ৫ টাকা। কিন্তু এই দুরত্বে এখন ভাড়া আদায় হচ্ছে ১০ টাকা। চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পূর্বের ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা হলেও এখন জনপ্রতি ৪০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। একইভাবে নগরীর প্রতিটি রুটেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। যাত্রীরা কোনো উপায় না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা কাছে স্বীকার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, আগে ওঠানামা ৫ টাকা নিলেও এখন ওঠানামা ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ভাড়া কিলোমিটারে ঠিকই আছে। আগে যানবাহন চলাচল করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। তারপর সরকার যেভাবে ভাড়া নির্ধারণ করবে সেভাবেই ভাড়া নেবো। দু’দিনের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
চট্টগ্রামের ১৩টি রুটেই বাসজাতীয় বড় গণপরিবহনের সাথে চলছে ছোট ছোট পরিবহনও। বাসের সাথে সাথে বেড়েছে টেম্পু ও এ জাতীয় অন্যান্য ফরিবহনের ভাড়াও।
চট্টগ্রামের পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজ সকাল ১১টায় মন্ত্রণালয়ে ভাড়া নিয়ে যে বৈঠক হবে, তার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা বলছেন, কিছু জটিলতা হওয়ায় তারা গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বৈঠকে যদি তাদের স্বার্থানুযায়ী সিদ্ধান্ত না হয়, সেক্ষেত্রে তারা আবার ধর্মঘট করতে পারেন, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
ভোরের পাতা/কে