রোববার (০৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত টিকাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনায় পঞ্চাশোর্ধ্বদের মৃত্যুহার বেশি। করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৬১ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। তাদের ঝুঁকিপূর্ণ ভেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে তারপরও টিকায় পিছিয়ে পড়ছে পঞ্চাশোর্ধ্বরাও।
অধিদপ্তর বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৬ কোটি ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬১০ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৭০ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩ কোটি ৮ লাখ ৭১ হাজার ২২ জন। তবে নিবন্ধন করে এখনও টিকা পাননি এক কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ৫৪০ জন মানুষ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিসটেম (এমআইএস) শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান জানান, সক্ষমতার তুলনায় টিকা কেন্দ্রগুলোতে অধিক সংখ্যক মানুষ নিবন্ধন করায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। টিকা নিবন্ধনের বয়স কমিয়ে আনার পর থেকেই ব্যাপক হারে নিবন্ধন হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০০ জনের টিকা দেওয়ার সক্ষমতা, সে কেন্দ্রে নিবন্ধন হচ্ছে হাজারেরও বেশি। এখানে কিছুই করার নেই। যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা সবাই টিকা পাবেন। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।