#অনন্য বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন শেখ হাসিনা: অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। #বিশ্বে উন্নয়নের স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছেন শেখ হাসিনা: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন।
প্রকাশ: শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১, ১০:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নিজের সততা নিষ্ঠা একাগ্রতা, ভিশন ও কাজের মাধমে বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ দুরন্ত, দুর্বার গতিতে। উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভিশনারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ‘রূপকল্প-২০৪১’। সে সময় বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করবে। এই রূপকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা যেখানে দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের ঘটনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১৫তম পর্বে শনিবার (১১ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, আজ শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে তিনি আজ সাড়া বিশ্বে বেশি গুরত্ব পাচ্ছে। টানা এতো বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে ও বিশেষ করে তাঁর বরনাদ্দ রাজনৈতিক জীবনের কারণে এই অর্জনগুলো তিনি অর্জিত করতে পেরেছেন। নিজের সততা নিষ্ঠা একাগ্রতা, ভিশন ও কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ দুরন্ত, দুর্বার গতিতে। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। দেশ ও বিশ্বপরিমণ্ডলে শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও শান্তির প্রতীক। তাঁরই নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এক সময়ের ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশটি আজ আবির্ভূত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তিনি এক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনেন। এক কথায় বলা যায়, তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো দূরদর্শিতা। শেখ হাসিনার মতো দূরদর্শী নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। নেতা হিসেবে সফল হতে হলে একজন নেতাকে সংকটকালীন সময়ে সংকটের প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকদের চেয়ে আগে থেকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হয়। তিনি অতিমারীর বিপর্যয়মূলক প্রভাব আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন এবং এই বিপর্যয় থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে এবং অর্থনীতির গতিপথকে চলমান রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে এবং অফিস, কলকারখানা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে প্রত্যেক বারেই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এখন পর্যন্ত নাগরিকদের জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে পেরেছেন বেশ সফলভাবেই। তিনি এমনি একজন মানবিক নেত্রী, যিনি সারাক্ষণ দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা কাজ করে চলেছেন। করোনার এই মহামারিতেও সব বাধা অতিক্রম করে মানবতার সেবায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে যিনি ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপদান করে চলেছেন।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আজকের খুব চমৎকার বিষয় নিয়ে ভোরের পাতা সংলাপের আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এটা আসলেই একেবারেই যথার্থ। শেখ হাসিনা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারী সরকারপ্রধান। টানা ৪০ বছর ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতাকে তিনি শুধু রক্ষাই করেননি, আরও সুসংহত করেছেন। বাংলাদেশকে করেছেন বিশ্বময়। বিশ্ব নেতারা এখন শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পঞ্চমুখ। বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে যেভাবে তাঁর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানে এটা আসলেই আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম সফল ও আলোচিত নেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ গড়ে তুলতে একের পর এক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সাফল্যের সাথে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তাঁর অধ্যবসায়ী মনোভাব এবং পরিশ্রমী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের কর্ণধাররাও বিস্মিত। দেশ আজ আধুনিক অবকাঠামোগত প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশকে অন্য এক উচ্চতায় স্থান করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত যা বিশ্বনেতাদের নিকটও আলোচিত। বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত দেশের রুটে তুলে আনার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও মানবতার বিশ্বজননী হিসেবে ইতোমধ্যেই তাঁর ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, মেধা, বিচক্ষণতা, আত্মপ্রত্যয় ও দূরদর্শিতার কারণে তিনি এখন বিশ্বনেত্রী। নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের মধ্যে তিনি ৭ম স্থানে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরচুনে প্রকাশিত তালিকা মতে, বিশ্বসেরা ৫০ নেতার মধ্যে শেখ হাসিনা দশম স্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাময়িকীতে মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তা, গবেষণা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি এবং আকর্ষণমূলক কাজের জন্য বিশ্বের যে ১০০ শীর্ষ ব্যক্তির তালিকা করা হয় সেখানে শেখ হাসিনার অবস্থান ১৩তম। ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী সরকারপ্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভিশনারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ‘রূপকল্প-২০৪১’। সে সময় বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করবে। এই রূপকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা যেখানে দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের ঘটনা।