তবে খোস্তি নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি।
জানা যায়, নিহতদের মধ্যে এক নারী অধিকারকর্মী রয়েছেন। তবে তার পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় সুশীল সমাজের বরাত দিয়ে বিবিসি পার্সিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চার নারী বন্ধু ও সহকর্মী ছিলেন। তারা দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য মাজার-ই-শরীফ বিমানবন্দরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি অধিকার গোষ্ঠীর সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, প্রথমে ওই নারীরা একটি ফোন কল পায়। তারা ভেবেছিল তাদের দেশের বাইরে নিয়ে যেতে সাহায্য করতেই কেউ ফোন দিয়েছে। তারপর একটি গাড়ি এসে তাদের নিয়ে যায়। এরপরই তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তালেবান প্রশাসনে নারীদের জনজীবন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর অনেক নারী অধিকারকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রয়ে যাওয়া নারীরা তাদের অধিকারকে সক্রিয় করতে এবং মেয়েদের হাইস্কুলে পড়ার অনুমতি চেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে। এতে তালেবান সেনারা নারীদের সেই বিক্ষোভ ভঙ্গ করেছে এবং সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছে যেন এই বিষয়ক কোনো সংবাদ প্রকাশ না করা হয়।
কিন্তু আন্দোলনের নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, তাদের কর্মীদের হত্যা করা কিংবা শাস্তি দেয়ার অনুমতি কারো নেই।
ভোরের পাতা/অ