প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১, ১১:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে তার কাজের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে তার স্বীকৃতি এসেছে। সম্প্রতি সময়ে জলবায়ু সম্মেলনে তিনি যেভাবে স্পষ্টভাষায় যে কথাগুলো বলেছেন এই কারণে বিশ্বব্যাপী তাকে আবার নতুন করে গুরুত্ব দিচ্ছে। একজন বাংলাদেশি হিসবে এবং তার নেতৃত্বে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমরা নিজেদেরকে গউরবান্মিত মনে করি। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ব্যাপক প্রয়াস পাওয়া গেছে। ২০০৯ থেকে ২০২১- এ ১২ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নতি ও সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১৪তম পর্বে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজের গভর্নিংবডির সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্নে বাংলাদেশের অগ্রগতি ধারাবাহিকতায় নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও মানুষের উন্নয়নের কাজে নিজেকে সমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সফল নেতৃত্বের পাল্লাটি কেবলই ভারী হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়া মহামানবী হিসেবে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নানা উপাধিতে ভূষিত করেছেন। তার নেতৃত্বে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে অনুসরণের বিষয় বিশ্বময় ব্যাপক আলোচিত। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করে বলছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের বিচক্ষণতা আর দূরদর্শিতা প্রমাণে শুধু দক্ষিণ এশিয়ারই নন, বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ও জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ব্যাপক প্রয়াস পাওয়া গেছে। ২০০৯ থেকে ২০২১- এ ১২ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নতি ও সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। সারাবিশ্ব যখন মন্দার কবলে তখন বাংলাদেশ একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ক্রমাগতভাবে সাতের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে যা বিশ্বময় অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছে। কীভাবে সম্ভব এটি, তা কেউ চিন্তাই করতে পারছে না। সে জন্যই বলা হচ্ছে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের জন্য একটি উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। কিসিঞ্জার-কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন স্যাটেলাইট যুগের মানচিত্রে জায়গা করে নেওয়া এক গর্বিত দেশ। শেখ হাসিনা আজ দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম প্রধান অনুঘটক। এরই মধ্যে ভূ-রাজনীতিতে তার স্বাধীন একটি কণ্ঠস্বরও তৈরি হয়েছে। তিনি বিশ্বে তার উপস্থিতি অনুভব করাচ্ছেন এবং বিশ্বনেতারাও তাকে আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে বিবেচনা করেন। উপমহাদেশীয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এবং এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা দারুণ সাহস ও কূটনৈতিক দক্ষতা দেখিয়ে চলেছেন। তিনি নিজেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।