রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত নেতৃত্বে শেখ হাসিনা: অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১, ১১:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে তার কাজের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে তার স্বীকৃতি এসেছে। সম্প্রতি সময়ে জলবায়ু সম্মেলনে তিনি যেভাবে স্পষ্টভাষায় যে কথাগুলো বলেছেন এই কারণে বিশ্বব্যাপী তাকে আবার নতুন করে গুরুত্ব দিচ্ছে। একজন বাংলাদেশি হিসবে এবং তার নেতৃত্বে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমরা নিজেদেরকে গউরবান্মিত মনে করি। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ব্যাপক প্রয়াস পাওয়া গেছে। ২০০৯ থেকে ২০২১- এ ১২ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নতি ও সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১৪তম পর্বে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজের গভর্নিংবডির সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, আমরা অনেকেই শুনেছি পুড়ে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়, আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন সেই খাঁটি সোনা। অল্প বয়সে বাবা-মাসহ সকলকে হারিয়েছেন তিনি। তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেইসব শোক বুকে নিয়ে ছয় বছর তিনি দেশে আসতে পারেননি। খুনি জিয়া তাকে দেশে আসতে দেয়নি। নিজের ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে তিনি যেভাবে কষ্ট করে দেশের বাইরে কাটিয়েছেন সেই থেকে তিনি দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরেন। দেশপ্রেমে উদ্বুুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে এবং তিনি নিজেও যেভাবে তৈরি হয়েছেন তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি। ২১ বছর সংগ্রাম আন্দোলন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বারবার তাকে হত্যা চেষ্টা করার পরেও তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৯৬ সালের সরকার গঠন করেন। ১১৯৬ সাল থেকে ২০২১ ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের জন্য একটি স্বর্ণময়ী যুগ। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সেই সময়টিতে শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ব্যাপক ভোটের মাধ্যমে তিনি আবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেমন অনেক কিছুই দিয়েছেন ঠিক তেমনি সারা বিশ্বকেও অনেক কিছু দিয়েছেন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন ছয় দফা দিয়েছিলেন আজ তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের জন্য এই তিনদিন আগে স্কটল্যান্ডে জলবায়ু সমস্যা সমাধানে ছয় দফার দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্ব আজ বিশ্বের সকল নেতার কাছে সমাদৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু একটি দেশ উপহার দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা সেই দেশকে গড়ে তুলেছেন যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তার একান্ত প্রচেষ্টার দরুন আজ সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। বেড়ে চলেছে জিডিপি গ্রোথ, মাথাপিছু আয়, ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রফতানি আয় সবকিছুই। অর্থনীতির সব সূচকই এখন ঊর্ধ্বগামী। তিনি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য আপামর মানুষের মতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে চলেছেন। তিনি দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন তা শুধু যে স্বপ্ন দেখা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ তা নয়। তিনি যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যও কাজ করছেন- এটাই প্রমাণিত। বৈশ্বিক মহামারী করোনায় শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেন। করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন কার্যকরী পদক্ষেপ। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনৈতিক খাতগুলোতে সময়োপযোগী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]