#আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত নেতৃত্বে শেখ হাসিনা: অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত। #আমাদের শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমরা গর্ববোধ করি: শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। #বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল।
জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে তার কাজের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে তার স্বীকৃতি এসেছে। সম্প্রতি সময়ে জলবায়ু সম্মেলনে তিনি যেভাবে স্পষ্টভাষায় যে কথাগুলো বলেছেন এই কারণে বিশ্বব্যাপী তাকে আবার নতুন করে গুরুত্ব দিচ্ছে। একজন বাংলাদেশি হিসবে এবং তার নেতৃত্বে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমরা নিজেদেরকে গউরবান্মিত মনে করি। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ব্যাপক প্রয়াস পাওয়া গেছে। ২০০৯ থেকে ২০২১- এ ১২ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নতি ও সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১৪তম পর্বে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজের গভর্নিংবডির সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, আমরা অনেকেই শুনেছি পুড়ে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়, আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন সেই খাঁটি সোনা। অল্প বয়সে বাবা-মাসহ সকলকে হারিয়েছেন তিনি। তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেইসব শোক বুকে নিয়ে ছয় বছর তিনি দেশে আসতে পারেননি। খুনি জিয়া তাকে দেশে আসতে দেয়নি। নিজের ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে তিনি যেভাবে কষ্ট করে দেশের বাইরে কাটিয়েছেন সেই থেকে তিনি দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরেন। দেশপ্রেমে উদ্বুুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে এবং তিনি নিজেও যেভাবে তৈরি হয়েছেন তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি। ২১ বছর সংগ্রাম আন্দোলন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বারবার তাকে হত্যা চেষ্টা করার পরেও তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৯৬ সালের সরকার গঠন করেন। ১১৯৬ সাল থেকে ২০২১ ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের জন্য একটি স্বর্ণময়ী যুগ। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সেই সময়টিতে শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ব্যাপক ভোটের মাধ্যমে তিনি আবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেমন অনেক কিছুই দিয়েছেন ঠিক তেমনি সারা বিশ্বকেও অনেক কিছু দিয়েছেন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন ছয় দফা দিয়েছিলেন আজ তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের জন্য এই তিনদিন আগে স্কটল্যান্ডে জলবায়ু সমস্যা সমাধানে ছয় দফার দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্ব আজ বিশ্বের সকল নেতার কাছে সমাদৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু একটি দেশ উপহার দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা সেই দেশকে গড়ে তুলেছেন যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তার একান্ত প্রচেষ্টার দরুন আজ সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। বেড়ে চলেছে জিডিপি গ্রোথ, মাথাপিছু আয়, ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রফতানি আয় সবকিছুই। অর্থনীতির সব সূচকই এখন ঊর্ধ্বগামী। তিনি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য আপামর মানুষের মতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে চলেছেন। তিনি দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন তা শুধু যে স্বপ্ন দেখা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ তা নয়। তিনি যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যও কাজ করছেন- এটাই প্রমাণিত। বৈশ্বিক মহামারী করোনায় শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেন। করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন কার্যকরী পদক্ষেপ। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনৈতিক খাতগুলোতে সময়োপযোগী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমি প্রথমেই ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান সাহেবকে ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি, কারণ একমাত্র তার একান্ত প্রচেষ্টায় ভোরের পাতা সংলাপ বাংলাদেশের নানা ইস্যু নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে তার কাজের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে তার স্বীকৃতি এসেছে। সম্প্রতি সময়ে জলবায়ু সম্মেলনে তিনি যেভাবে স্পষ্টভাষায় যে কথাগুলো বলেছেন এইকারণে বিশ্বব্যাপী তাকে আবার নতুন করে গুরুত্ব দিচ্ছে। একজন বাংলাদেশি হিসবে এবং তার নেতৃত্বে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমরা নিজেদেরকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা সবসময় বলি যে আমরা অহঙ্কার করি আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনায় অসম দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্বে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে যেটা আগে ধারণা ছিল সেটা আজ বাস্তবে প্রমাণিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে বাংলাদেশ বিষয়ে এই আগ্রহের কারণও বিগত ১২ বছরের ইতিবাচক দেশ পরিচালনা। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন আর অগ্রগতির রোল মডেল। বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য নারী নেত্রীরা যা পারেননি বাংলাদেশে শেখ হাসিনা তা পেরেছেন। তিনি পিতার ঘাতকদের বিচার এবং দণ্ড নিশ্চিত করেছেন। যার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে প্রায় বিরল। তিনি সকল বাধা অতিক্রম করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলেই আজ এক সময়ের দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ এখন সমৃদ্ধির পথে সাবলীল গতিতে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। পাশাপাশি দক্ষ হাতে রাষ্ট্র পরিচালনা করে শেখ হাসিনা দেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু তাঁর এই দীর্ঘপথ মোটেই মসৃণ ছিলো না, ছিলো কণ্টকাকীর্ণ। আর এই সংগ্রামে শেখ হাসিনাকে কমপক্ষে ২১ বার হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে। তার সাহস, প্রজ্ঞা, মমত্ববোধ, ধৈর্য, দূরদর্শিতা ও সব ধরনের প্রতিকুলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে তিনি কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজের বর্তমান। তিনি আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ তার অভীষ্ট লক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্নে বাংলাদেশের অগ্রগতি ধারাবাহিকতায় নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও মানুষের উন্নয়নের কাজে নিজেকে সমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সফল নেতৃত্বের পাল্লাটি কেবলই ভারী হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়া মহামানবী হিসেবে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নানা উপাধিতে ভূষিত করেছেন। তার নেতৃত্বে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে অনুসরণের বিষয় বিশ্বময় ব্যাপক আলোচিত। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করে বলছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের বিচক্ষণতা আর দূরদর্শিতা প্রমাণে শুধু দক্ষিণ এশিয়ারই নন, বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ও জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ব্যাপক প্রয়াস পাওয়া গেছে। ২০০৯ থেকে ২০২১- এ ১২ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নতি ও সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। সারাবিশ্ব যখন মন্দার কবলে তখন বাংলাদেশ একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ক্রমাগতভাবে সাতের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে যা বিশ্বময় অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছে। কীভাবে সম্ভব এটি, তা কেউ চিন্তাই করতে পারছে না। সে জন্যই বলা হচ্ছে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের জন্য একটি উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। কিসিঞ্জার-কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন স্যাটেলাইট যুগের মানচিত্রে জায়গা করে নেওয়া এক গর্বিত দেশ। শেখ হাসিনা আজ দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম প্রধান অনুঘটক। এরই মধ্যে ভূ-রাজনীতিতে তার স্বাধীন একটি কণ্ঠস্বরও তৈরি হয়েছে। তিনি বিশ্বে তার উপস্থিতি অনুভব করাচ্ছেন এবং বিশ্বনেতারাও তাকে আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে বিবেচনা করেন। উপমহাদেশীয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এবং এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা দারুণ সাহস ও কূটনৈতিক দক্ষতা দেখিয়ে চলেছেন। তিনি নিজেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।