আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইউরোপে করোনাভাইরাসে আরও ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) ডব্লিউএইচও'র ইউরোপীয় পরিচালক হ্যান্স ক্লুজ একটি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তাদের ইউরোপীয় অঞ্চলে ৭৮ মিলিয়ন মানুষের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যেখানে ৫৩টি দেশ ও অঞ্চলসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ অন্তভুক্ত।
তবে, ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যা এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং আফ্রিকাকে ছাড়িয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
হ্যান্স ক্লুজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমরা আবারও মহমারির কেন্দ্রে রয়েছি।'
ক্লুজ উল্লেখ করেন, 'ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫৩টি দেশে সংক্রমণের বর্তমান গতি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
তিনি বলেন, 'সংক্রমণের বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও অর্ধ মিলিয়ন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হতে পারে।' সব বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার বেশি দেখা গেছে বলেও জানান তিনি।
ক্লুজ 'অপ্রতুল টিকাদান' এবং 'জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক ব্যবস্থার শিথিলী' করাকে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, 'যেসব দেশে টিকা দেওয়ার হার কম, সেখানে হাসপাতালে ভর্তির হার বেশি।'
তিনি বলেন, ''পরীক্ষা, শনাক্ত, শারীরিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারের মতো ব্যবস্থাগুলো এখনো ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের 'অস্ত্রাগারের' অংশ।'
বলেন ক্লুজ, 'কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া থেকে শুরু করে প্রথম কোনো স্থানে এটি ঘটতে বাধা দেওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই কৌশল পরিবর্তন করতে হবে।'
বিভিন্ন দেশের তথ্য থেকে বার্তা সংস্থা এপি দেখেছে, গত ৬ সপ্তাহ ধরে ইউরোপে প্রতিদিন নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে এবং ধারাবাহিকভাবে গত সাত সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার শনাক্ত এবং ৩ হাজার ৬ শ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহামারির অবসানে বিশ্বজুড়ে টিকা কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গেই চলছে। তবে দরিদ্র দেশগুলো এক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে। ফলে করোনার টিকার সুষম বণ্টনে ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।