৩ নভেম্বর ও ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্ধকারতম অধ্যায়: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জেল হত্যার নিহত চার নেতাকে স্মরণ করতে হলে যেমন বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হয়, ঠিক তেমনি একইসাথে একাত্তরে সকল শহীদদের স্মরণ করতে হয়। কারণ এই সকল ঘটনাগুলো একইসূত্রে গাঁথা। তারা মূলত ভেবেছিল যে এই চার নেতা যদি জীবিত থাকে তাহলে তারা আবার নেতৃত্বে ফিরে আসতে পারে এবং ভবিষ্যতে এই বিশ্বস্ত সহচর আবার সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে পারে, এইজন্যই মূলত তারা আবার এই নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস রচনা করে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১৩তম পর্বে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, প্রথমে আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করি তেসরা নভেম্বরে যে চার জাতীয় নেতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং সেই সাথে আমি আরও স্মরণ করছি ১৫ আগস্টে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সেদিন তার পরিবারের যেসকল সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। আসলে জেল হত্যার নিহত চার নেতাকে স্মরণ করতে হলে যেমন বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হয়, ঠিক তেমনি একইসাথে একাত্তরে সকল শহীদদের স্মরণ করতে হয়, কারণ এই সকল ঘটনাগুলো একইসূত্রে গাঁথা। যদি খুব সংক্ষেপে বলি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে স্বাধীন বাংলাদেশে অভ্যুদয় হয়েছিল তা দ্বিজাতি তথ্যের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তানের জন্য একটা বড় পরাজয় এবং সেই বাঙালি যখন সফল হয় সেই পাকিস্তানীদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। যে কারণে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে যে পরাজয় পেয়েছিল পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের সেটা শুধু তাদের রাষ্ট্রের পরাজয় ছিল না, এটা তাদের দর্শনেরও পরাজয় ছিল। তারা আসলে এই পরাজয় মেনে নিতে পারেনি যে কারণে তাদের মূল টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে নৃশংসভাবে তার পুরো পরিবারসহ হত্যা করা হয়েছে, সেটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল কারণ পৃথিবীতে অনেক ক্যু হয়েছে, সামরিক শাসনের সময় অনেক দেশের জাতির পিতারা প্রাণ হারিয়েছেন, জেলের প্রকোষ্ঠে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব থেকে আদরের ছোট্ট সন্তান শেখ রাসেলকে পর্যন্ত তারা যেভাবে হত্যা করেছে সেটা আসলেই পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর অনুপুস্থিতিতে যারা একাত্তরের ৯টি মাস বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেই চার নেতাকেও কিন্তু খুব নির্মমভাবে হত্যা করে হয়েছিল।