প্রথমে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার ওপেনিং জুটি দাঁড়াতেই পারলো না। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরের পথ ধরলেন লিটন দাস।মিচেল স্টার্কের ১৪৪ কিলোমিটার গতির এক ডেলিভারি বাইরে থেকে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন লিটন।
পরের ওভারে জশ হ্যাজলেউড তুলে নেন সৌম্য সরকারকে (৮ বলে ৫), তিনিও হন বোল্ড।
এরপর তৃতীয় ওভারে আরো এক উইকেট। এবার মুশফিকুর রহিমকে (২ বলে ১) এলবিডব্লিউ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২.৫ ওভারে ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
ওপেনিংয়ে নেমে ধরে খেলতে থাকা নাঈম হাসান ১৬ বলে ১৭ রান করে হ্যাজেলউডের শিকার হওয়ার পর অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলেন আফিফ হোসেন (০)।
এদিকে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ইনিংসের হাল ধরেছিলেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। দুজনের জুটিতে আসে ২৮ বলে ২৯ রান। ১ চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়ে আশা জাগালেও অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে শামিমের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৯ রান। ওভারের পরের বলেই লেগ বিফোর হয়ে ডাক মারেন মেহেদী হাসান। ফলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পান জাম্পা।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও দলের বিপদে হাল ধরতে পারেননি। টাইগার দলপতি ফিরেছেন ১৮ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে। স্টার্কের বলে অজি উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২টি বাউন্ডারি। ৬৫ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর নিজের আগের ওভারে ২ উইকেট পাওয়া জাম্পা হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেলেও তাসকিন আহমেদের ক্যাচ মিস করেন ওয়েড। কিন্তু ওই ওভারেই মোস্তাফিজ (৪) ও শরিফুল ইসলামকে (০) বিদায় করে ইনিংসে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন জাম্পা।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার জাম্পা ৫টি এবং স্টার্ক, হ্যাজেলউড ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। বাকি ১ উইকেট গেছে ম্যাক্সওয়েলের দখলে।