প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১১:২০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। এরই সূত্র ধরে, বুধবার রাত ১২টা থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
তবে অন্যদিকে দাম বাড়া সত্ত্বেও উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ৫ টাকা এবং ১০ টাকা করে কমিয়েছে ভারত সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (৩ নভেম্বর) জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় ‘লোকসান কমাতে’ দেশের বাজারেও এ জ্বালানির তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১২৪.৪১ টাকা বা ১০১.৫৬ টাকা ছিল। অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯.৪১ টাকা কম।
অন্যদিকে তেলের দাম বাড়ায় বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল ভারতের সাধারণ মানুষের মনে। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের বিজেপি সরকার জ্বালানি তেলের ওপর উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ৫ টাকা এবং ১০ টাকা করে কমিয়েছে। এতে করে পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা ৮২ পয়সা থেকে কমে হল ১০৪ টাকা ৬৭ পয়সা। ডিজেলের দাম ১১ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে কমে হল ৮৯ টাকা ৭৯ পয়সা।
করোনাসময়ে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ১ ডলারের নিচে নেমে গেলেও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৮০ ডলার ছাড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন এবং কৃষিখাতে উপরি চাপ সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোরের পাতা/কে