গ্লাসগোতে চলমান এই সম্মেলনে অংশ নিতে ১২০টিরও বেশি দেশের নেতারা যোগ দিয়েছেন।
উপস্থিত দেশগুলো এরই মধ্যে বড় ধরণের পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নিঃসরণের হার কমানো এবং বন উজাড় রোধ করা।
চীন ও রাশিয়া বৃক্ষ নিধন কমানোর অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করেছে। সম্মেলনে বাইডেনের বক্তব্যের আগে পুতিন বন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। পুতিন ঐ বৈঠকে মন্তব্য করেন যে, রাশিয়া 'বন সংরক্ষণে সবচেয়ে কঠোর এবং জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে।'
চীন, রাশিয়া ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চীন ও রাশিয়ার সমালোচনা করে মন্তব্য করেন বাইডেন।
"চীন নতুন ভূমিকায়, নতুন বিশ্ব শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে - আর (এখানে) উপস্থিত হয়নি, 'কাম অন!'"
শি জিনপিংয়ের অনুপস্থিতিকে 'বড় ভুল' বলে অভিহিত করেছেন বাইডেন।
পুতিন সম্পর্কেও একই ধরণের মন্তব্য করেছেন বাইডেন। তিনি মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার বনভূমি জ্বলেছে এবং তাদের প্রেসিডেন্ট বিষয়টি নিয়ে 'নিশ্চুপ' থেকেছেন।
অক্টোবরে যখন রাশিয়া ঘোষণা করে ভ্লাদিমির পুতিন এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না, তখন পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ প্রেসিডেন্টের এই সম্মেলনে অংশ না নেয়ার কোনো কারণ জানাননি। যদিও সেসময় তারা বলেছিল যে রাশিয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি 'গুরুত্বপূর্ণ' অগ্রাধিকার।
একই সময়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে কর্মকর্তারা জানান যে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সম্মেলনে যোগ না দিতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে শি ২০২০ সালের প্রথম দিক থেকে চীনের বাইরে বের হননি।
সেপ্টেম্বরে শি ঘোষণা দেন যে ২০৬০ সালের মধ্যে চীন কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন করবে।
১৩ই অক্টোবর আন্তর্জাতিক জ্বালানি ফোরামে দেয়া এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছিলেন, রাশিয়াও '২০৬০ সালের মধ্যে' কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন করবে।
'নেট জিরো', বা কার্বন নিরপেক্ষতা বলতে বোঝায় বায়ুমণ্ডলে বর্তমান মাত্রার সাথে আর গ্রিনহাউজ গ্যাস যোগ না করা। সূত্র: বিবিসি বাংলা