চলতি বছর ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতা দখলের পর সংকুচিত হয়ে পড়ে আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক সহায়তা ও লেনদেনের পথ। মুখ থুবড়ে পড়ে দেশটির অর্থনীতি। চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে লাখ লাখ আফগান। এর মাঝেই এমন ঘোষণা এলো তালেবান সরকারের। খবর আল-জাজিরার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাজধানী কাবুলে বৃহত্তম সামরিক হাসপাতালে গুলি ও বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হওয়ার এক ঘণ্টা পর আকস্মিকভাবে তালেবান এ ঘোষণা দেয়।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি অনলাইনে পোস্ট করে জানিয়েছেন, ইসলামিক আমিরাতের সব নাগরিক, দোকান মালিক, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ মানুষকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, সব ধরনের বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আফগানিস্তানে মার্কিন ডলার ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায়, যেমন পাকিস্তানি মুদ্রা ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ১৫ আগস্ট কাবুল দখলে নেয় তালেবান। ভয় আর আতঙ্কে দেশ ছাড়তে থাকেন বহু মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের সেনা সদস্যসহ দোভাষীদের ফিরিয়ে নিতে জটিলতা তৈরি হয়। ভিড় বেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দরে। দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম শেষ করার কয়েকদিন আগে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে বোমা হামলায় নিহত হন ১৭৫ জন। এ হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনাও নিহত হন। এর পরপরই আফগান ইস্যুতে আরও কঠোর হয় যুক্তরাষ্ট্র। কাবুলে চালানো হয় পর পর দুটি রকেট হামলা। বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের আর্থিক সহযোগিতা। ফলে চরম সংকটে পড়ে দেশটি। ধারণা করা হচ্ছে, তালেবানের দেশের অভ্যন্তরে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও চরম অবনতির দিকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হলো।