এক সাথে পাঁচ সন্তান জন্ম দানের পর গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন সুস্থ থাকলেও নবজাতক শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। নবজাতক শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে এক সাথে পাঁচ শিশুর জন্ম দেয়ায় শিশুদের দেখতে হাসপাতালের উৎসুক জনতা ভিড় করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গর্ভধারণের মাত্র ৫-৬ মাসের মাথায় সাদিয়া খাতুন সন্তান প্রসব করেছেন।
শিশুদের ছোট ফুফু রাবেয়া বলেন, সোমবার রাত ১০টায় দিকে তারা ভাবি সাদিয়া খাতুনকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। পরে মঙ্গলবার সকালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ভাবি এক সাথে পাঁচ সন্তান জন্ম দেন। এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চরম আনন্দ দেখা দিয়েছে। তবে শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলায় পরিবারের সদস্যরা কিছুটা চিন্তিত।
শিশুদের পিতা সোহেল রানা জানান, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনকে তিনি বিয়ে করেন। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়। তিনি আরও বলেন, এক সাথে পাঁচ সন্তান জন্ম নেওয়ায় তাঁরা খুব খুশি। আমার স্ত্রী বর্তমানে সুস্থ আছে। কিন্তু শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়ায় তাদের ঢাকায় নিয়ে যেতে বলায় তাঁরা কিছুটা চিন্তিত। শিশুদের অক্সিজেন চলছে। নবজাতক ওই পাঁচ শিশু বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডের দুই নম্বর রুমে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, মঙ্গলবার সাদিয়া নামের এক গৃহবধূ পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তবে মা সুস্থ থাকলেও শিশুদের অবস্থা সংকটপূর্ণ। পাঁচ শিশুকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে। শিশুগুলো প্রিম্যাচিউর জন্ম হয়েছে। তাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম।
সর্বনিম্ন ৪৩০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৬৫০ গ্রাম ওজন। শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়া হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে এক সঙ্গে পাঁচ শিশু জন্মদান একটি বিরল ঘটনা।