সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
৩ বছর সংসারের পর গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে, অতঃপর...
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১, ৩:২৯ পিএম আপডেট: ০২.১১.২০২১ ৩:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

এক মুসলমান গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সনাতন ধর্মাবলম্বী এক যুবক। এক পর্যায়ে তিনি প্রেমিকাকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। এভাবে চলে তাদের ৩ বছর। সম্প্রতি স্ত্রীকে কিছু না জানিয়ে ওই যুবক তার গ্রামের বাড়িতে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। 

এ সংবাদ পেয়ে তার প্রথম স্ত্রী ছুটে আসেন এবং স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন। এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালান তিনি।

সোমবার (০১ নভেম্বর) এমন ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানী গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেশজানী গ্রামের সুধাংশু বিশ্বাসের ছেলে তাপস চন্দ্র বিশ্বাস গাজীপুরে কাঁচামালের ব্যবসা করার সুবাদে গার্মেন্টস কর্মী শেরপুর সদর উপজেলার কামারচর ইউনিয়নের ধোবলারচর গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে মিনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। 

এক পর্যায়ে নিজেকে সুমন ইসলাম পরিচয় দিয়ে ২০১৮ সালে ১৩ ডিসেম্বর প্রেমিকাকে বিয়ে করেন তাপস চন্দ্র বিশ্বাস। তিন বছর সংসার করার পর পাঁচ মাস আগে স্ত্রীকে কিছু না জানিয়ে তাপস নিজ গ্রামে চলে যান।

জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর গ্রামের বাড়িতেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন তাপস। এ সংবাদ পেয়ে বিয়ের একদিন পরই তার প্রথম স্ত্রী এসে হাজির হন। এরপর স্বীকৃতি চেয়ে অনশন শুরু করেন। এক পর্যায়ে স্ত্রী হিসাবে মেনে না নেয়ায় তাপসের ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান মিনা আক্তার।

মিনা আক্তার বলেন, মুসলমান পরিচয়ে আমার সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের পর তিন বছর সংসার করে তাপস চন্দ্র বিশ্বাস। এমনকি সে আমার দুটি সন্তানও নষ্ট করেছে। 

এরপর আমাকে না জানিয়ে নিজের গ্রামে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় তাপস ও তার পরিবার আমাকে মানসিক রোগী বানিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমার বাড়িতে গেলে মা-বাবাও আমাকে তাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে তাপসের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছি। সে আমাকে স্বীকৃতি না দিলে আমি যাব না, প্রয়োজনে আমার লাশ যাবে।

মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সোমবার ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মেয়েটি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মিনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করলেও বিয়ের করেননি বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত সুমন ইসলাম ওরফে তাপস চন্দ্র বিশ্বাস।



ভোরের পাতা/অ



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  দ্বিতীয় বিয়ে  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]