প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৪৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
নাইজেরিয়ার বৃহত্তম শহর লাগোসে নির্মাণাধীন একটি ২২তলা ভবন ধসে কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক মানুষ।
সোমবার (০১ নভেম্বর) বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ভবনটির ভেতরে কতজন মানুষ ছিলেন, তা জানা যায়নি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাগোস শহরের অভিজাত ইকোয়ি এলাকায় এই বহুতল ভবনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করা হচ্ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা অলু আপাতা জানান, গত দুই বছর ধরে এই ভবনের নির্মাণকাজ চলছিল।
তিনি বলেন, বিকেল তিনটার পরপর নিজের ভবনে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খান। প্রথমে ভেবেছিলেন এটি ভূমিকম্প।
এদিকে ঘটনার পরপরই সেখানে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন শত শত মানুষ। তারা খালি হাতেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকেপড়া মানুষের সন্ধান করেন।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া রশিদ ওলামিলেকান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, তিনি খালি হাতে টেনে আটকেপড়া তিনজন শ্রমিককে ধ্বংস স্তূপের বাইরে নিয়ে আসতে পেরেছেন। ওই তিন শ্রমিককে দ্রুত হাসপাতালেও পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে দুর্ঘটনাস্থলে রেডক্রসের সদস্যরা পৌঁছান।
এর আগে, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া কিছু ছবিতে ধ্বংসাবশেষের বিশাল স্তুপের কাছে ভিড় দেখা গেছে। লাগোস শহরের অভিজাত ইকোয়ি এলাকায় ধসে পড়া ওই বহুতল ভবনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করা হচ্ছিল।
নির্মাণ শ্রমিক এরিক তেতেহ, ৪১, জানান, তার দলের অন্যরা একটি এক্সাভেটর (খনন যন্ত্র) আসার অপেক্ষায় ছিলেন। এসময় হটাৎই ভবনটি ভেঙ্গে পড়ে।
প্রসঙ্গত, ভবন ধসের ঘটনা নাইজেরিয়ার লাগোসে নতুন নয়। দেশটির সবচেয়ে বড় এই শহরে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। ২০১৯ সালেও সেখানে দুটি আলাদা ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, লাগোসে এক হাজারের বেশি ভবন ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভোরের পাতা/অ