#বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে আলোকিত করছেন শেখ হাসিনা: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #নিজেকে মানবিক বিশ্ব নেতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন শেখ হাসিনা: এম এ লিংকন মোল্লা।
আজকের সংলাপের আলোচ্য বিষয়- বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এটা আসলেই একেবারেই যথার্থ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে যেভাবে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেখানে এটা আসলেই আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। তিনি এমনই একজন মানুষ যার সামনে কথা বলতে গেলে মনে হয় একেবারেই আপন মানুষ। অথচ বাংলাদেশের অনেক এমপি, মন্ত্রীরাও তার সাথে কথা বলতে গেলে একটু ভেবে চিন্তে কথা বলে, কিন্তু প্রবাসীরা যখন তার সামনে গিয়ে কথা বলি তখন মনে হয় বড় আপা ছোট ভাইদের সাথে কথা বলছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১০তম পর্বে সোমবার (১ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ লিংকন মোল্লা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আজকের সংলাপের আলোচ্য বিষয় বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এটা আসলেই একেবারেই যথার্থ। আমি তো দেখি যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে যেভাবে তার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানে এটা আসলেই আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম সফল ও আলোচিত নেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ গড়ে তুলতে একের পর এক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সাফল্যের সাথে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তার অধ্যবসায়ী মনোভাব এবং পরিশ্রমী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের কর্ণধাররাও বিস্মিত। দেশ আজ আধুনিক অবকাঠামোগত প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশকে অন্য এক উচ্চতায় স্থান করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত যা বিশ্বনেতাদের নিকটও আলোচিত। বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত দেশের রুটে তুলে আনার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও মানবতার বিশ্বজননী হিসেবে ইতোমধ্যেই তার ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, মেধা, বিচক্ষণতা, আত্মপ্রত্যয় ও দূরদর্শিতার কারণে তিনি এখন বিশ্বনেত্রী। নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের মধ্যে তিনি ৭ম স্থানে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরচুনে প্রকাশিত তালিকা মতে, বিশ্বসেরা ৫০ নেতার মধ্যে শেখ হাসিনা দশম স্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাময়িকীতে মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তা, গবেষণা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি এবং আকর্ষণমূলক কাজের জন্য বিশ্বের যে ১০০ শীর্ষ ব্যক্তির তালিকা করা হয় সেখানে শেখ হাসিনার অবস্থান ১৩তম। ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী সরকারপ্রধান হিসাবে উল্লেখ করা হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দেখানো স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই আজকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এম এ লিংকন মোল্লা বলেন, আজকের সংলাপের আলোচ্য বিষয় নিয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই আমি বলতে চাই যে, আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি পদক্ষেপই তাকে আজকে বিশ্ব নেতাই পরিণত করেছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে নেতৃত্বে দিচ্ছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশের রত্ন নয়, তিনি বিশ্বরত্ন। তিনি বাঙালি জাতির চেতনার প্রতীক। আমাদের অহংকার। যার অপ্রতিরোধ্য পথ চলায় বাংলাদেশ আজ ছুটে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের জয়জয়কার। বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে প্রিয় মাতৃভূমির উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা সেই অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পাদন করছেন। বিশ্বের বুকে সর্ব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিস্ময়। আর বিস্ময়ের সূচনা জাতির পিতার হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণে বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানের জন্য। সেজন্যই আজ বাংলাদেশের অবস্থান একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশকেই উদাহরণ হিসেবে দেয়া হয়। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান আজ আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এমনই একজন মানুষ যার সামনে কথা বলতে গেলে মনে হয় একেবারেই আপন মানুষ। অথচ বাংলাদেশের অনেক এমপি, মন্ত্রীরাও তার সাথে কথা বলতে গেলে একটু ভেবে চিন্তে কথা বলে কিন্তু আমরা প্রবাসীরা যখন তার সামনে গিয়ে কথা বলি তখন মনে হয় বড় আপা ছোট ভাইদের সাথে কথা বলছেন। আজ দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রের বেশির ভাগ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছে। করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে অনুকরণীয় রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি তৃতীয় বিশ্বের একজন মানবিক নেতা হিসেবে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন। অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র, আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা ভাবনা, তাকে করে তুলেছে এক অনন্য রাষ্ট্রনায়ক।