মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪.৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ওই অঙ্ক ছিল আগের বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বা ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
কিন্তু সেই জোয়ার আর নেই। এখন ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রতি মাসেই কমছে রেমিট্যান্স।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারির বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর অবৈধ চ্যানেলগুলোতে অর্থাৎ হুন্ডিতে অর্থ লেনদেন বেড়েছে। এছাড়া মহামারিতে যে হারে প্রবাসীরা চাকরি হারিয়েছেন সেভাবে নতুন বৈদেশিক নিয়োগ হয়নি। এসব কারণে প্রবাসীদের আয় কমছে।
এদিকে রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রফতানিও কম। অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে। যে কারণে ডলারের দর বেড়ে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারেই রোববার ৮৫ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেছে। খোলা বাজারে খুচরা ডলারের দাম উঠেছে ৯০ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় কমে আগস্টের তুলনায় ৯ কোটি ডলার। গত আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় ছিল ১৮১ কোটি ডলার। যা জুলাই মাসের চেয়ে ৬ কোটি ডলার কম। জুলাই মাসে ১৮৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে যা জুনের তুলনায় ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৪ কোটি ডলার যা মে মাসের তুলনায় ২৩ কোটি ডলার কম।
অক্টোবর মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে আসে ১৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মোট এ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭০ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
ভোরের পাতা/কে